টাকা দিলেই মিলছে ভুয়ো শংসাপত্র, নিম্ন মানের পিপিই কিট–মাস্কে ভরে গিয়েছে বাজার
টাকা দিলেই মিলছে ভুয়ো শংসাপত্র, নিম্ন মানের পিপিই কিট–মাস্কে ভরে গিয়েছে বাজার
করোনা ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করার জন্য সামনের সারির কর্মীদের পিপিই কিট, মাস্ক ও গ্লাভসের দরকার পড়ছে। যেগুলির সহায়তায় এইসব কর্মী এই মারণ রোগের মুখোমিখি হতে পারছেন। কিন্তু সম্প্রতি দেখা গিয়েছে এই প্রয়োজনীয় জিনিসের অত্যাধিক চাহিদার কারণে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সহজে অর্থ উপার্জনের জন্য এই জিনিসগুলি তৈরি করছে। যার মান অত্যন্ত খারাপ।
অর্থের বিনিময়ে ভুয়ো শংসাপত্র
বিশেষজ্ঞদের মতে, একরাতের মধ্যে গজিয়ে ওঠা এই অপারেটররা ৫ থেকে ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে শংসাপত্র দিয়ে দিচ্ছে। আর তার ওপর ভিত্তি করেই ভুয়ো ব্যবসায়ীরা ব্যবসা চালাচ্ছে। তাদের না প্রয়োজন হচ্ছে এনএবিসিবির শংসাপত্রের, এরা দীর্ঘদিন ধরে পণষের গুণগত মান বিচার করে আসছে। আর না দরকার হচ্ছে ড্রাগ নিয়ন্ত্রকের কোনও নিয়মের। দিব্যি চলছে পিপিই, মাস্ক ও গ্লাভসের উৎপাদন। এনএবিসিবির থেকে অনুমোদন ও শংসাপত্র পেতে গেল ব্যবসায়ীকে তাদের দক্ষতার মূল্যায়নের ওপর এবং আন্তর্জাতিক মান বজায় রয়েছে কিনা এবং ড্রাগ নিয়ন্ত্রকের নিয়ম মানা হচ্ছে কিনা তা দেখা হবে। এর জন্য এনএবিসিবি পরিদর্শক দলও পাঠায়।
খুব সীমিত সংখ্যক সংস্থা মেডিক্যাল ডিভাইস বানায়
সরকারের কাছে বৈধ সংগঠনগুলি এ ধরনের বহু অভিযোগ করেছে যেখানে ভুয়ো সংস্থার নাম উঠে এসেছে যারা টাকার বিনিময়ে শংসাপত্র প্রদান করে। কিছু সরবরাহকারী বেসরকারী সংস্থা হিসাবে পরিচালিত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপ ভিত্তিক স্বীকৃতি সংস্থাগুলির কাছ থেকে শংসাপত্র দাবি করার জন্য আইএসও নম্বরটি ফাঁকি দিচ্ছেন। প্রসঙ্গত কেবল ১১ টি সংস্থা এনএবিসিবি অনুমোদিত সংস্থা এবং ড্রাগ নিয়ন্ত্রকের সঙ্গে নিবন্ধিত আটটি সংস্থা মেডিকেল ডিভাইস প্রস্তুত করে।
এনএবিসিবির অনুমোদন দেখে নেওয়া উচিত
এনএবিসিবির পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে, থার্ড পার্টির অনুমোদন না থাকার কারণে এইসব অবৈধ পিপিই শংসাপত্র সংস্থাগুলি সহজেই অসাধু ব্যবসায়ীদের টাকার বিনিময়ে শংসাপত্র দিচ্ছে। যার ওপর ভিত্তি করে চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মী এগুলি কিনছে। যে এজেন্সিগুলি সরাসরি উৎপাদনকারীদের থেকে পিপিই সহ অন্যান্য জিনিস কিনছে তাদের উচিত এনএবিসিবির অনুমোদন রয়েছে কিনা তা দেখে নেওয়া। কারণ এনএবিসিবির পক্ষ থেকে ১৮ মাস আগে মেডিক্যাল ডিভাইসের ওপর কড়া আইন আনা হয়েছিল।
ক্রেতাদের আসল ও নকলের মধ্যে পার্থক্য বোঝা উচিত
কিন্তু তা সত্ত্বেও বাজারে এই পিপিই কিট, মাস্ক, গ্লাভস বিক্রি করার জন্য এইসব অবৈধ সংস্থার থেকে শংসাপত্র কিনছে ব্যবসায়ীরা। যাতে নিম্নমানের জিনিস বিক্রি করে বেশি অর্থ উপার্জন করা যায়। কিছুদিন আগেই ভারত চিনের পাঠানো নিম্নমানের পিপিই কিট ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছে। করোনার মতো মারণ রোগের সঙ্গে লড়াই করতে হলে চিকিৎসক-নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রতিরক্ষার বর্ম হওয়া দরকার মজবুত। এছাড়াও ক্রেতাদের নকল ও প্রকৃত স্বীকৃতি এবং তাদের অবশ্যই এনএবিসিবির বিজ্ঞপ্তিপ্রাপ্ত সংস্থাগুলির দ্বারা প্রত্যয়িত হয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামগুলির মধ্যে পার্থক্য সম্পর্কে শিক্ষিত হওয়া দরকার। এছাড়াও, ব্যুরো অফ ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ডস (বিআইএস) স্বেচ্ছাসেবক শংসাপত্রও পিপিই ও মাস্কের গুণগত মান নিশ্চিত করে।
প্রতীকী ছবি
বিজেপিতে ব্যাপক রদবদল! কে কোন পদ পেলেন, কার হল প্রোমোশন, একনজরে