গৌরী লঙ্কেশ হত্যাকাণ্ডের বন্দুক খুঁজতে ২.২ কোটি টাকা খরচ তদন্তকারীদের
২০১৭ সালে গৌরী লঙ্কেশ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত পিস্তল আততায়ীরা ফেলে দিয়েছিল মহারাষ্ট্রের ভাসাই খাঁড়িতে। সেই দেশি পিস্তল উদ্ধারে এখন খাঁড়ি তোলপাড় করছেন তদন্তকারীরা।
২০১৭ সালে গৌরী লঙ্কেশ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত পিস্তল আততায়ীরা ফেলে দিয়েছিল মহারাষ্ট্রের ভাসাই খাঁড়িতে। সেই দেশি পিস্তল উদ্ধারে এখন খাঁড়ি তোলপাড় করছেন তদন্তকারীরা। অসম্ভবকে সম্ভব করার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। ২ বছর পরেও মেলেনি সেই বিপুল অস্ত্র।
ভাসাই খাঁড়িতে বন্দুকের খোঁজে তদন্তকারীরা
যে অস্ত্র বা বন্দুক দিয়ে গৌরী লঙ্কেশকে হত্যা করা হয়েছিল সেটার সন্ধান এখনও পাননি তদন্তকারীরা। জেরায় আততায়ীরা জানিয়েছিল গৌরী লঙ্কেশকে হত্যা করার পর মহারাষ্ট্রের ভাসাই খাঁড়িতে সেই বন্দুক ফেলে দিয়েছিল তারা। ৭.৬৫ এমএম ক্যালিবার দেশি বন্দুকের খোঁজে এখন খাঁড়ি তোলপাড় করছেন তাঁরা। মহারাষ্ট্র এবং কর্নাটক দুই রাজ্যেই রয়েছে এই খাঁড়ি। কর্নাটকে ৭০ ভাগ আর মহারাষ্ট্রে ৩০ ভাগ। মুম্বইয়ের কাছে এই খাঁড়িতে বন্দুকের সন্ধান করতে প্রায় ২.২ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। খাঁড়িতে বন্দুক তল্লাশির জন্য কয়েকজন বিশেষজ্ঞতে নিয়োগ করেছে পুলিস। কিন্তু তাতেও কী লাভ হবে। কারণ যে পরিমাণ বর্ষা এবার হয়েছে মহারাষ্ট্রে তাতে তো খাঁড়ি ছাপিয়ে গিয়েছিল।
তিন সমজকর্মীর খুনের ঘটনায় একই বন্দুকের ব্যবহার
নরেন্দ্র দাভলকার, গোবিন্দ পানসাকা, এমএম কালবুর্গি এবং গৌরী লঙ্কেশ এই চার সমাজকর্মীকে খুনের ঘটনায় এই একটি বন্দুকই ব্যবহার করেছিল আততায়ীরা। সেকারণেই তদন্তের খাতিরেই এই বন্দুকের সন্ধান পাওয়া অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করছেন তাঁরা। এই খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত শরদ কলসকরকে জেরা করে যে তথ্য পুলিস পেয়েছে তাতে ওই খুনের অস্ত্র উদ্ধার করতে পারলেই মামলার অর্ধেক তদন্ত শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু যে খাঁড়িতে বন্দুকি ফেলা হয়েছিল। সেখান থেকে সেটি খুঁজে বের করার চেষ্টা অসম্ভবই শুধু নয় অলিক কল্পনা ছাড়া আর কিছুই হতে পারে না।
চার সমাজকর্মীকেও একই ভাবে খুন করা হয়েছিল
২০১৩ সালে সকালে গুলি করে খুন করা হয়েছিল নেরেন্দ্র দাভলকারকে। এরপর ২০১৫ সালে গোবিন্দ পানসারাকেও একইভাবে গুলি করে খুন করা হয়। ২০১৫ সালের অগস্টেই অধ্যাপক কালিবুর্গিকেও গুলি করে হত্যা করে আততায়ীরা। আর তারপর ২০১৭ সালে ৫ সেপ্টেম্বর বাড়ির সামনেই গুলি করে হত্যা করা হয় গৌরী লঙ্কেশকে। চারজনের খুনেই দেশি বন্দুকের ব্যবহার হয়েছিল। প্রমাণ না রাখতেই এই বন্দুকের ব্যবহার করেছিল আততায়ীরা। সনাতন সংস্থার ঠিক করা লোকই এই খুন করেছিল বলে জানতে পেরেছে তদন্তকারীরা।
গৌরী লঙ্কেশ হত্যাকাণ্ডের চার্জশিট তৈরি করা হয়ে হেলেও এখন কালিবুর্গি হত্যাকাণ্ডের চার্জশিট তৈরি করতে পারেনি পুলিস। তদন্তের অধিকাংশটাই নির্ভর করছে এই বন্দুকের খোঁজ পাওয়ার উপর। তাই মরিয়া হয়ে সেই অসম্ভবকে সম্ভব করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তদন্তকারীরা।
[আরও পড়ুন: আম্বানিদের রাজকীয় গণেশ পুজোয় রণবীর-আমির থেকে সচিন-অমিতাভ! দেখুন অ্যালবাম]