খারগোনের হিংসা প্রথম মৃত্যুর কথা জানালেন মন্ত্রী
খারগোনের হিংসা প্রথম মৃত্যুর কথা জানালেন মন্ত্রী
রামনবমীর উৎসব শেষ হয়েছে প্রায় দশদিন হল৷ এই বছরও দেশজুড়ে শ্রী রামচন্দ্রের জন্মতিথি মহাধুমধামে পালন করেছেন তাঁর ভক্তরা৷ তাল কেটেছে স্রেফ বিশেষ কিছু অঞ্চলে। ঠিক যেমন মধ্যপ্রদেশের খারগোনে! এই অঞ্চলে রামভক্তদের মিছিলে পাথর ছোঁড়ার অভিযোগ উঠেছে। যার ফলে ছড়িয়ে পড়েছে সাম্প্রদায়িক হিংসা। এবার এই ঘটনায় প্রথমবারের জন্য এক ব্যক্তির মৃত্যুর খবর স্বীকার করে নিল প্রশাসন।
৪৪ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর!
রামনবমী উপলক্ষে রামভক্তদের মিছিলে পাথর ছোঁড়ার পর উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকাজুড়ে। যারা পাথর ছুঁড়ছিল, তাদের দিকে তেড়ে যায় উন্মত্ত জনতা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে দেখে শান্তি বজায় রাখতে উদ্যোগী হন উপস্থিত পুলিশ আধিকারিকরা। সেখানে তাঁদের মধ্যেও অনেকে আহত হন। পুলিশের হিসেব অনুযায়ী, ঘটনা ঘটার পর মোট ৪৪টি এফআইআর দায়ের হয়েছে৷ ঘটনার ফলে গ্রেফতার করা হয়েছে ১৫৮জনকে৷ যাতে ফের হিংসা না ছড়িয়ে পড়ে, ক্রমাগত টহল দিয়েছে পুলিশ৷
জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বেরনোয় বাধা!
খুব জরুরি প্রয়োজন না হলে ঘরের বাইরে পা রাখতে বারন করা হয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। প্রথমে সকাল দশটা থেকে কার্ফু জারি হয়েছিল অঞ্চলটিতে৷ এখন তা অনেকটাই শিথিল করা হয়েছে। দুপুর বারোটা অবধি যাতে মানুষজন নিজেদের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি কিনতে পারেন, নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে৷
মৃত্যুর কথা স্বীকার করেছেন নরোত্তম মিশ্র!
গোটা ঘটনায় সক্রিয় ভূমিকা নিতে দেখা গিয়েছে মধ্যপ্রদেশ সরকারকে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান বলেছেন, দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে তাঁর সরকার। অন্যদিকে যাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাদের ক্ষতিপূরণের বন্দোবস্তও করব আমরা। সোমবার রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র এই ঘটনায় মৃত্যুর কথা স্বীকার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ১০ এপ্রিল এই ঘটনায় ৩০ বছর বয়সী এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তাঁর নাম ইবারিশ খান আলিয়াস সাদ্দাম। রবিবার রাতে ইন্দোরের এমওয়াই হাসপাতালে তাঁর দেহ শনাক্ত করা হয়৷ ইবারিশের মৃত্যুতে ৭-৮ জন অচেনা ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।'
'নিরপেক্ষ তদন্ত হবে, ১৪টি টিম একসঙ্গে কাজ করছে', আশ্বাস দিল্লি পুলিশ কমিশনার রাকেশ আস্থানার