জ্ঞানব্যাপি সহ সমস্ত মসজিদ-মন্দির মামলা থেকে বাদ প্রধান দুই আইনজীবী , উঠছে নানা প্রশ্ন
জ্ঞানব্যাপির ঘটনা থেকে শুরু করে সমস্ত কেসের সঙ্গে যারা যুক্ত তারাই গেলেন বাদের তালিকায়। জানা গিয়েছে বাবা ছেলের যুগলবন্দি বিগত কয়েক যে কটি মন্দির মসজিদ জনিত ঘটনা ঘটেছে তার অধিকাংশই লড়ছিলেন তাঁরাই। সেই তাদেরকেই এবার আইনজীবীর ভূমিকা থেকে সরিয়ে দেওয়া হল। ঘটনাচক্রে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেই সংস্থা যারা পিতা - পুত্র'কে দিয়ে ওই সমস্ত বিতর্কিত কেসগুলি ফাইল করাচ্ছিলেন তাঁরাই। এক বিশাল নাটকীয় পরিবর্তন তা বলা যেতেই পারে। তবে এর কারণ কী? কেন এমন করা হল ? হঠাৎ কী এমন হল যে রাতারাতি পিতা - পুত্র'কে মাঠের বাইরে ফেলে দেওয়া হল ? সেই উত্তর মেলেনি।
জানা গিয়েছে যে , বিশ্ব বৈদিক সনাতন সংঘ (ভিভিএসএস) হল সেই সংগঠন যারা অধিকাংশ মসজিদের তলায় মন্দিরের প্রশ্ন তুলে আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছিলেন। আর তাঁদের হয়ে আদালতে লড়াই করতেন হরিশঙ্কর জৈন এবং বিষ্ণু শঙ্কর জৈন, যারা সম্পর্কে পিতা-পুত্র। তাঁদেরকে আইনজীবী হিসাবে আর রাখল না বিশ্ব বৈদিক সনাতন সংঘ। সংঘ নিজেই এই কথা জানিয়েছে। তবে এর কারণ কী তা নিয়ে তাঁরা মুখ খোলেননি।
সংঘের সভাপতি জিতেন্দ্র সিং বিষেন মঙ্গলবার বলেছেন যে সংস্থাটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে সিনিয়র আইনজীবী হরিশঙ্কর জৈন এবং বিষ্ণু শঙ্কর জৈন কাশী বিশ্বনাথ সম্পর্কিত সাম্প্রতিক মামলাগুলি সহ - তাঁদের দায়ের করা মামলাগুলিতে আর তার আইনজীবী হিসাবে কাজ করবেন না। এই তালিকায় ছিল বারাণসীর জ্ঞানব্যাপি মসজিদ মামলাও।
সিদ্ধান্তের পিছনে কারণ প্রকাশ করতে অস্বীকার করে, জিতেন্দ্র সিং বিষেন বলেন, "আমরা সারা দেশে বিভিন্ন আদালতে আমাদের দায়ের করা সমস্ত মামলা থেকে অ্যাডভোকেট হরিশঙ্কর জৈন এবং বিষ্ণু শঙ্কর জৈনের "ভাকালতনামা" বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।" ভিভিএসএস সারা দেশে বিভিন্ন আদালতে ৫০টিরও বেশি মামলা লড়ছে। এর মধ্যে সাতটিই জ্ঞানব্যাপী মামলার সম্পর্কিত।
জ্ঞানব্যাপী মসজিদের বিষয়ে ভিভিএসএস-এর দ্বারা দাখিল করা সাম্প্রতিকতম পিটিশনগুলির মধ্যে একটি হল কমপ্লেক্সে মুসলমানদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করার এবং সমগ্র এলাকাটি হিন্দুদের দখলে রাখার জন্য। একটি ভিডিওগ্রাফি সমীক্ষার সময় জ্ঞানব্যাপি মসজিদ কমপ্লেক্সে একটি "শিবলিঙ্গ" পাওয়া গেছে বলে দাবি করার পরে আবেদনটি করা হয়েছিল।
এই দুই আইনজীবী কমপক্ষে পাঁচটি চলতি মামলার কেন্দ্রে ছিলেন যেগুলির মধ্যে মসজিদগুলিতে প্রাচীন মন্দিরের ধ্বংসাবশেষের দাবি করা হয়। সেই তালিকায় ছিল লখনউয়ের তেলি ওয়ালি মসজিদ থেকে শুরু করে ধরর ভোজশালা , আগ্রার তাজমহল এবং মথুরার শাহী ইদগাহের মামলাও।
প্রশ্ন উঠছে তবে রাজনৈতিক চাপ আসছে বিতর্ক কমাতে না কি পারফর্মেন্স ভালো হচ্ছে না তাই দল থেকে বাদ পড়লেন পিতা পুত্র ?