বাড়ছে ওমিক্রনের দাপট, কেরলেও থাবা নয়া স্ট্রেনের
বাড়ছে ওমিক্রনের দাপট, কেরলেও থাবা নয়া স্ট্রেনের
শুরুটা হয়েছিল কর্নাটকে দু'জনের আক্রান্ত হওয়া থেকে। ধীরে ধীরে ওমিক্রনের সংক্রমন বেড়েই চলেছে ভারতে। এবার কেরলেও পাওয়া গেল কোভিডের নয়া স্ট্রেনের উপস্থিতি৷ সবমিলিয়ে ৩৮ জন আক্রান্ত হলেন এই ভাইরাসে।
চণ্ডীগড়, অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্নাটক, মহারাষ্ট্র, কেরল এই পাঁচটি রাজ্যে একজন করে নতুন ব্যক্তি আক্রান্ত হয়েছেন। মহারাষ্ট্রের নাগপুরে যেমন প্রথম ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে৷ কিছুদিন আগেই একজন ব্যক্তি দিল্লি হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ফিরেছিলেন। ৬ ডিসেম্বর তাঁর কোভিড রিপোর্ট পজেটিভ আসে। রবিবার জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের পর জানা যায়, তিনি ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন। মহারাষ্ট্রে এই নিয়ে ১৮ জন ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজ মিলল। এমতাবস্থায় মুম্বইতে ১১ ও ১২ তারিখ বড়সড় জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল প্রশাসন।
কেরলের ক্ষেত্রেও ওমিক্রন আক্রান্ত ব্যক্তি আদতে বিদেশফেরত। তিনি আবু ধাবি হয়ে ইংল্যান্ড থেকে ফিরেছেন। ৮ ডিসেম্বর তাঁর রিপোর্ট পজেটিভ আসে। তাঁর মা এবং স্ত্রীও আক্রান্ত হয়েছেন এই ভাইরাসে৷ কেরল প্রশাসন জানিয়েছে যে বিমানে চড়ে তিনি এসেছিলেন, তার ১৪৯ জন যাত্রীকেও এই বিষয়ে জানানো হয়েছে।
চণ্ডীগড়ে আবার এক ব্যক্তি তাঁর আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন ইটালি থেকে। ২২ নভেম্বর তিনি দেশে পা রাখেন। এরপর হোম আইসোলেশনেই ছিলেন। ১ ডিসেম্বর জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ে জানা যায়, তিনি ওমিক্রন আক্রান্ত৷ জানা গিয়েছে ইটালিতে থাকাকালীন ফাইজারের টিকার প্রত্যেকটি ডোজ নিয়েছিলেন তিনি। তাঁর দেহে কোনও উপসর্গও দেখা যায়নি৷ এই মুহূর্তে তিনি নিভৃতবাসে রয়েছেন। তাঁর সাতজন ঝুঁকিপূর্ণ আত্মীয়কেও কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। যদিও তাঁদের কোভিড টেস্টের ফলাফল নেগেটিভ এসেছে৷ অন্ধ্রপ্রদেশের ঘটনাতেও কোনও ব্যতিক্রম নেই। আয়ারল্যান্ড থেকে আগত এক ব্যক্তির দেহে দেখা গিয়েছে এই স্ট্রেন৷ এই মুহূর্তে তিনি বিশাখাপত্তনমে আছেন।