লাদাখ সীমান্তে নজরদারির জন্য ইজরায়েলি ড্রোন পেল ভারতীয় সেনা
লাদাখ সীমান্তে নজরদারির জন্য ইজরায়েলি ড্রোন পেল ভারতীয় সেনা
স্বাধীনতার পর থেকেই প্রতিবেশী পাকিস্তানের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক নয় ভারতের। সেই সমস্যা এখনও ভারতের মাথাব্যথার কারণ। অন্যদিকে লাদাখ সীমান্তে চোখ রাঙাচ্ছে চিনও। গতবছরের গলওয়ান উপত্যকায় রক্তস্নাত সংঘর্ষ এখনও স্মৃতি থেকে মুছে যায়নি। এর মাঝেই ক্ষমতাবৃদ্ধি ঘটল ভারতীয় সেনার। শত্রুদের ওপর কড়া নজর রাখতে ইজরায়েলি হিরণ ড্রোন পেল সেনাবাহিনী।
জানা গিয়েছে মূলত লাদাখ সীমান্তে চিনাসেনার ওপর নজর রাখতেই এই ড্রোন কিনেছে ভারত৷ তবে প্রয়োজনে এটিকে কাজে লাগানো হতে পারে পাকিস্তানের বিরুদ্ধেও৷ বহুদিন আগেই অবশ্য এই ড্রোন হাতে পাওয়ার কথা ছিল দেশের৷ কিন্তু মাঝে কোভিড অতিমারির জেরে তা বিলম্বিত হয়। এক উচ্চ আধিকারিক বলেন, 'অত্যাধুনিক হিরন ড্রোনগুলি দেশে এসে গিয়েছে৷ পূর্ব লাদাখ সীমান্তে সেগুলিকে মোতায়েন করা হচ্ছে। ওই ড্রোনগুলি এখন থেকেই কাজ করতে পারবে৷ এর আগে ভারতীয় সেনার কাছে যে হিরন ড্রোনগুলি ছিল, তার চেয়ে বেশি কর্মক্ষমতা রয়েছে সেগুলির।'
গতবছর ভারত-চিন সংঘর্ষের সময় সেনার জন্য আপৎকালীন ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল মোদী সরকার৷ সেই অর্থ থেকেই এই ড্রোনগুলি কেনা হয়েছে। তবে শুধু ইজরায়েলি হিরন নয়, ভারতীয় সংস্থার কাছ থেকেও ছোটখাটো ড্রোন কিনছে সেনাবাহিনী।
বিশেষজ্ঞদের একটা বড় অংশের মতে, এই। মুহূর্তে চিনের সঙ্গে সম্মুখ সমরের আশঙ্কা কম থাকলেও মোটেই হাল্কাভাবে নেওয়া উচিত নয় বেজিংকে। ক্রমাগত নজরদারি চালানো অত্যন্ত প্রয়োজন। তাই এই ড্রোন কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর আগে ২০১৯ সালে বালাকোট এয়ারস্ট্রাইকের পর এভাবে ড্রোনের জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছিল৷ এই অর্থ দিয়ে ভারতীয় নৌসেনাও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে দুটি প্রেডেটর মিসাইল লিজ নিয়েছে।
দেশে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধিতে ওমিক্রন আতঙ্ক! ১ লক্ষের নিচে নামল সক্রিয়ের সংখ্যা
ভারতীয় বায়ুসেনাও শক্তি বাড়িয়েছে নিজেদের। বহু সংখ্যক অ্যান্টি ট্যাঙ্ক মিসাইল কিনেছে তারা৷ একইসঙ্গে লং রেঞ্জ আর্টিলারি শেল, হ্যামার এয়ার টু গ্রাউন্ড মিসাইলও কেনা হয়েছে। সেই মিসাইলগুলির পাল্লা ৭০ কিলোমিটার।