সমকামিতা এবং পরকীয়াকে দণ্ডনীয় অপরাধ হিসাবে কাছে পুনর্বহালের আবেদন ভারতীয় সেনার
সেনাবাহিনীর মধ্যে সমকামিতা এবং পরকীয়াকে দণ্ডনীয় অপরাধ হিসাবে ফিরিয়ে আনতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কাছে আবেদন জানাল ভারতীয় সেনা। সূত্রের খবর, ভারতীয় সেনার একটি প্রতিনিধি দল ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের আধিকারিকদের সঙ্গে কথাও বলেছেন। অন্যদিকে সমকামিতা ও পরকীয়া কোনও শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে গণ্য হতে পারে না বলে ২০১৮ সালের দুটি ঐতিহাসিক রায়ে জানায় সুপ্রিম কোর্ট।

সূত্র অনুসারে, সেনার শৃঙ্খলা ও আত্মনিয়ন্ত্রণের জন্য সেনা আইনের ৪৫ নম্বর ধারা অনুযায়ী সমকামিতা ও পরকীয়াকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসাবে চিহ্নিত করতে চাইছে ভারতীয় সেনার একটা অংশ। ১৯৫০ সালে তৈরি এই আইন অনুযায়ী যদি কোনও সেনা কর্মকর্তা, জুনিয়র কমিশনড অফিসার বা ওয়ারেন্ট পদমর্যাদার কোনও আধিকারিক ওই দুটি ক্ষেত্রে কোনও অপ্রত্যাশিত আচরণ করেন তাহলে তাদের শাস্তি প্রদান বাধ্যতামূলক। যদি তিনি কোনও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হন তাহলে তার পদমর্যাদা বিচার করে শুধুমাত্র আর্থিক জরিমানার শাস্তি ধার্য করা হতে পারে। কিন্তু তিনি যদি জুনিয়ার বা ওয়ারেন্ট পদমর্যাদার কোনও আধিকারিক হন তাহলে তার আর্থিক জরিমানার পাশাপাশি তাকে চাকরি থেকে বরখাস্তও করা হতে পারে ওই আইন মোতাবেক।
যদিও এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে অন্য সুর শোনা গেল ভারতীয় সেনার বিদায়ী লেফটেনেন্ট জেনারেল অশ্বিনী কুমারের গলায়। অবসর গ্রহণের একদিন আগে এই বিষয়ে সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, 'সুপ্রিম কোর্টের রায় গোটা দেশের রায়। তাই ভারতীয় সেনা অবশ্যই এমন কোনও পদক্ষেপ নেবে না যাতে দেশের সর্বোচ্চ ন্যায়ালয়ের রায়ের পক্ষে অবমাননাকর। ’ পাশাপাশি এই মুহূর্তে ভারতীয় সেনা পরকীয়া ও সমকামিতাকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসাবে পুনরায় ফিরিয়ে আনার আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে কোনও রিভিউ পিটিশন দাখিল করতে চলেছে কিনা এই বিষয়েও জিজ্ঞেস করা হয় ভারতীয় সেনার শৃঙ্খলা ও কল্যাণ বিভাগের ওই মুখ্য সামরিক প্রশাসককে। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'এই বিষয়ে আপনি জানলেন কি করে! আমরা এখনও এরকম কোনও পদক্ষেপ নিইনি।’
যদিও অন্যদিকে চলতি বছরের জানুয়ারিতেই একটি সংবাদ সম্মেলনে সমকামিতা ও পরকীয়াকে কড়া সমালোচনা করে সেনা প্রধান বিপিন রাওয়াত বলেন, 'সেনাবাসের সামগ্রিক পরিবেশ নিয়েও আমাদের ভাববার প্রয়োজন রয়েছে। যাতে কোনও কিছুই সেনাবাহিনীর মনোবল হ্রাস করতে না পারে সেই দিকেও বিশেষ নজর দিতে হবে।’