মহামারীর প্রভাব ক্যাম্পাস প্লেসমেন্টে ! কী বলছেন নিয়োগকর্তারা ? কী হাল অনলাইন জব পোর্টাল গুলির ?
করোনা মহামারির জেরে মার্চের শেষ সপ্তাহ থেকে আজ প্রায় তিন মাস হতে চলল দেশের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই বন্ধ। আর যার জেরে কারিগরি থেকে কলা, বিজ্ঞান থেকে বাণিজ্য সমস্ত ক্ষেত্রেই প্লেসমেন্টে দেখা দিয়েছে অচলাবস্থা। চাকরি না পেয়ে দিশেহারা একটা বড় অংশের ছাত্রছাত্রীরা। এমনকি এই কঠিন সময়ে চাকরির মন্দা দেখা দিয়েছে আইআইটি সহ দেশের অগ্রণী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলিতেও।

চাকরির অফার পেলেও সাড়া মিলছে না নিয়োগকর্তাদের তরফে
এমতাবস্থায় নতুন চাকরির অনুসন্ধানকারী সংস্থা Naukri.com-র তরফে একটি সমীক্ষা চালানো হয়। সেখানে বেশকিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে। Naukri.com-র ওই সমীক্ষার মতে এখনও পর্যন্ত অন্তিম বর্ষের ৬৬ শতাংশ পড়ুয়া তাদের জব লেটার বা চাকরিতে যোগদানের কোনও অফারই হাতে পাননি। একইসাথে ৪৪ শতাংশ পড়ুয়া চাকরির অফার পেলেও করোনা সঙ্কটের জেরে তাদেও এখনও জয়েনিংয়ের তারিখ সম্পর্কে কিছু জানানো হয়নি।

কী বলছেন নিয়োগকর্তারা ? কী হাল অনলাইন জব পোর্টাল গুলির ?
অন্যদিকে আরও ৩৩ শতাংশ পড়ুয়া দাবি করেছেন যে তারা তাদের চাকরির বর্তমান স্থিতি নিয়ে নিয়োগকর্তার কাছ থেকে কোনও সাড়া পাচ্ছেন না। ওই সমীক্ষা অনুযায়ী বর্তমানে বেশিরভাগ ছাত্র-ছাত্রীই নিজেদের যোগাযোগ কাজে লাগিয়ে চাকরির চেষ্টা করছেন। এরমধ্যে একটা বড় অংশের পড়ুয়া প্লেসমেন্টের জন্য অনলাইন জব পোর্টাল গুলির উপর ভরসা রাখছেন। অন্যদিকে একইসাথে ১৭ শতাংশ পড়ুয়া বিভিন্ন কলেজের প্রাক্তনীদের মাধ্যমে চাকরির খোঁজ চালাচ্ছেন।

৮৩ শতাংশ পড়ুয়া বাড়ি থেকে কাজ করতে চাইছেন
Naukri.com-র ওই সমীক্ষা অনুযায়ী নতুন চাকরির খোঁজ চালালেও করোনা আবহে ৮৩ শতাংশ পড়ুয়াই চাইছেন বাড়ি থেকে কাজ করতে বা কোনও সংস্থার হয়ে ফ্রিল্যান্সিং করতে। এদিকে নিজেদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও নতুন বিষয় নিয়ে পড়াশোনা চালাচ্ছেন একটা বড় অংশের পড়ুয়া। এই সমীক্ষা থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে প্রায় ৭০ শতাংশ পড়ুয়াই বিভিন্ন অনলাইন কোর্সে নাম নথিভুক্ত করিয়েছেন।


৬৬ পড়ুয়া অনলাইনে ভার্চুয়াল ক্লাসের সুবিধা নিচ্ছেন
এদিকে মহামারির মাঝে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠনপাঠন বন্ধ থাকায় ৬৬ পড়ুয়া অনলাইনে ভার্চুয়াল ক্লাস করছেন। পাশাপাশি জেনারেল নলেজ ও সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর প্রতি দখল বাড়াতে ৪৭ শতাংশ পড়ুয়া খবরের সঙ্গে যোগসাজশ অনেকটাই বাড়িয়েছেন। যদিও এই পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে সেই বিষয়ে কেউই কোনও দিশা দেখাতে পারছেন না। ফলে ছাত্রছাত্রীদের প্লেসমেন্ট দিতে না পেরে সর্বাধিক বিপদে পড়েছেন কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলি।