করোনা রোগীর ফুসফুস প্রতিস্থাপনে এশিয়ায় প্রথম সফলতা পেল চেন্নাইয়ের হাসপাতাল
চেন্নাইয়ের মাল্টি স্পেশালিটি হাসপাতাল এমজিএম হেলথ কেয়ার দাবি করেছে যে তারা এশিয়ায় প্রথম ফুসফুসের জটিল অস্ত্রোপচার করে সফলতা লাভ করেছে। ওই হাসপাতালের চিকিৎসকরা করোনা পজিটিভ রোগীর অস্ত্রোপচার করেছে বলে জানা গিয়েছে। বিল্যাটেরাল লাং ট্রান্সপ্লান্ট করার জন্য ওই করোনা রোগীকে দিল্লি থেকে চেন্নাইয়ে উড়িয়ে আনা হয়। করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত ওই রোগীর দু’টি ফুসফুস একসঙ্গে প্রতিস্থাপন করা হয়।

৩৪ বছরের দাতার ইনট্রা–সেরিব্রাল হেমারেজের ফলে মস্তিষ্কের মৃত্যু হয় বৃহস্পতিবার অ্যাপোলো হাসপাতালে। ওই দাতা নিজের হৃদযন্ত্র, লিভার ও ত্বকও শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে দান করে দিয়ে গিয়েছেন। ঘটনাক্রমে, ২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারী ঘাটকোপার রেলওয়ে স্টেশনে দুর্ঘটনায় এক মহিলা তার অঙ্গ হারানোর পর তা বাস্তবে জোড়া দেওয়ার আশায় হাতগুলি মুম্বইয়ে পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল।
এমজিএম হেলথ কেয়ারের কার্ডিয়াক সায়েন্সেসের ডিরেক্টর ও চেয়ারম্যান এবং হার্ট অ্যান্ড লাং ট্রান্সপ্লান্ট প্রোগ্রামের ডিরেক্টর ডাক্তার কেআর বালাকৃষ্ণনের নেতৃত্বে একটি চিকিত্সক দল এই অস্ত্রোপচার করে। চিকিৎসক সুরেশ রাও, ডাঃ শ্রীনাথ, ডাঃ অপার জিন্দলের মতো বিশেষজ্ঞরা ছিলেন এই টিমে। ডাঃ বালাকৃষ্ণন জানিয়েছেন যে চিকিৎসকদরে টিম প্রতিস্থাপনের মতো সিদ্ধান্ত চটজলদি ও নিজের জীবন ঝুঁকিতে রেখে নেওয়ায় তা সত্যিই প্রশংসীয়।
হাসপাতালের বিবৃতিত জানা গিয়েছে যে ৪৮ বছরের এক ব্যক্তির করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত ফাইব্রোসিসের জন্য তীব্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গিয়েছিল তাঁর ফুসফুস। তিনি ঠিকমতো অক্সিজেনও নিতে পারছিলেন না। গাজিয়াবাদের এক হাসপাতালে তাঁকে ভেন্টিলেটরে রাখা হয়। তাঁকে চেন্নাই উড়িয়ে আনা হয় ২০ জুলাই। চেন্নাইয়ের গ্লোবাল হাসপাতালের কাছে লিভার, হৃদযন্ত্র, ফুসফুস, কিডনি ও ত্বক রয়েছে যা শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে দান করা হবে। অন্যদিকে ৩৪ বছরের ব্যক্তির হাত যাবে মুম্বইয়ের তরুণী মণিকা মোরের কাছে, যিনি কৃত্রিম হাত ব্যবহার করছেন।
কয়েক দিন আগেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রবাসী তরুণ ভারতীয় বংশোদ্ভূত চিকিৎসক অঙ্কিত ভারত সবার নজর কেড়েছিলেন। তার নেতৃত্বে একটি চিকিত্সক দল সফলভাবে শিকাগোর এক তরুণীর (২০) শরীরে সফলভাবে দুটি ফুসফুস একসঙ্গে প্রতিস্থাপন করে। প্রায় দুই মাসের ব্যবধানে এবার ফুসফুসের সেই জটিল অস্ত্রোপচার সফলভাবে সম্পন্ন হলো ভারতে। মার্কিন ওই তরুণীর মতো এই রোগীর ফুসফুস বিকল হয়ে গিয়েছিল করোনায়।