'কুৎসিত মেয়েদের বিয়ে হতে সাহায্য করে পণপ্রথা', ক্লাসে শেখানো হচ্ছে পড়ুয়াদের ! চাঞ্চল্য
নোটটিতে দেখা পণপ্রথার সুবিধা অসুবিধা নিয়ে লেকালিখির পাশাপাশি, রয়েছে সুপুরুষদের আকর্ষণ করতে হলে বা যারা খারাপ দেখতে মেয়েদের বিয়ে করতে রাজি নয়, তাদের বিয়েতে রাজি করতে গেলে প্রয়োজন পণের।
"খারাপ দেখতে মেয়েদের বিয়ের জন্য সাহায্য করে পণপ্রথা। নয়তো সঙ্গী ছাড়াই তাঁদের থাকতে হত, সব সম্ভব হয়েছে প্রচুর পরিমাণ পণ দেওয়ার জন্য।" কলেজের নোটের মাধ্যমে এই শিক্ষাই দেওয়া হচ্ছে সোশিওলজির ক্লাসে। লজ্জাজনক এই ঘটনা অত্যাধুনিক তথা দেশের গর্বের সাইবার সিটি বেঙ্গালুরুর। হাতে হাতে এই নোটের কপি ছড়িয়ে পড়ে কলেজের পড়ুয়াদের মধ্যে।
বেঙ্গালুরুর সেন্ট জসেফ কলেজের এই ঘটনায় রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনার গভীরে গিয়ে তদন্তের আশ্বাসও দিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। কলেজের তরফে যদিও জানানো হচ্ছে যে ,এই ধরনের ভাবনা চিন্তা কখনওই কলেজ সমর্থন করে না। তবুও কীভাবে এই ধরনর নোট সোশিওলজি ক্লাসে ঘুরে বেড়ায় , তা নিয়ে সংশয় হচ্ছে অনেকেরই।
নোটটিতে দেখা পণপ্রথার সুবিধা অসুবিধা নিয়ে লেকালিখির পাশাপাশি, রয়েছে সুপুরুষদের আকর্ষণ করতে হলে বা যারা খারাপ দেখতে মেয়েদের বিয়ে করতে রাজি নয়, তাদের বিয়েতে রাজি করতে গেলে প্রয়োজন পণের। এছাড়াও সেখানে লেখা রয়েছে যে এটি একটি 'সুযোগ'! প্রসঙ্গত, ১৯৬১ সালে দেশে আইনের মাধ্যমে পণপ্রথাকে বেআইনি ঘোষণা করা হয়। উল্লেখ্য , শুধু বেঙ্গালুরু নয়, মহারাষ্ট্রের একটি স্কুলেও পণ প্রথাকে সমর্থন করে ক্লাসে পড়ানো হচ্ছিল বলে খবর আসে।