চলতি মাসেও পেঁয়াজের আগুন ছোঁয়া দাম চোখের জলের কারণ হতে পারে মধ্যবিত্তের
চলতি মাসেও পেঁয়াজের আগুন ছোঁয়া দাম চোখের জলের কারণ হতে পারে মধ্যবিত্তের
চার বছরে সর্বাধিক মূল্যবৃদ্ধি পেঁয়াজের। ২০১৫ সালের পর এই প্রথমবার একলাফে প্রায় ৪০০০টাকা প্রতি ক্যুইন্টলের ঘরে পৌঁছালো পেঁয়াজের দাম। নাসিকের লাসালগাঁও শহরে এই দামেই পেঁয়াজ বিকোতে দেখা গেল এদিন। আর পেঁয়াজের এই অগ্নিমূল্যের জেরে স্বভাবতই নাভিশ্বাস ওঠার জোগাড় সাধারণ মানুষের।
সেপ্টেম্বরে কয়েক দিনের জন্য বাড়তি দামের পর বর্তমানে খুচরো পেঁয়াজের দাম এই সপ্তাহে আবারও আকাশ ছোঁয়া। দেশের প্রধান বড় শহর গুলিতে কোথাও কোথাও প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ১০০ টাকা পর্যন্ত পৌঁছেছে বলে জানা যাচ্ছে। এর জন্য অনেকেই পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের সরবারহ কমে যাওয়াকে দায়ী করেছেন।
এশিয়ার বৃহত্তম পাইকারি পেঁয়াজ বাজার বলে পরিচিত নাসিকের লাসালগাঁওয়ে চলতি সপ্তাহের সোমবার প্রতি কুইন্টালে প্রায় ৫,৫০০টাকায় পেঁয়াজ বিক্রি হতে দেখা গেল। পাশাপাশি বুধবার এখানে প্রায় ৪৩০০ টাকা প্রতি ক্যুইন্টল দামে পেঁয়াজ বিক্রি হতে দেখা যায়। ২০১৫ সালের আগস্টের পরে প্রথমবার দেশে পেঁয়াজের দাম ৪০০০-এর গণ্ডি ছাড়ালো বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।
পাশাপাশি ১লা নভেম্বর দিল্লিতে পেঁয়াজের পাইকারি দাম নাসিকের থেকে তুলনামূলক ভাবে কিছুটা কম ছিল। চলতি সপ্তাহে প্রায় প্রতি কুইন্টাল পেঁয়াজ ৩৬০৭ টাকায় বিকোতে দেখা যায়। যদিও রাজধানীর সর্ব শেষতম চিত্রের মধ্যে গত দুবছরে প্রথমবারের জন্য দিল্লিতে পেঁয়াজের ৩,০০০-র গণ্ডি ছাড়িয়েছে।
কেন্দ্রীয় খাদ্য ও ভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রী রাম বিলাস পাসওয়ান বলেছেন, ফসলের অভ্যন্তরীণ উৎপাদন হ্রাসের ফলে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে এবং সরকার সামগ্রিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে দেখছে। সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, “দেশব্যাপী পেঁয়াজের উৎপাদন ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ কমে যাওয়ায় পেঁয়াজের দাম উর্ধ্বমুখী। আমরা সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে যথেষ্টই উদ্বিগ্ন এবং সরকার এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার সর্বতোভাবে চেষ্টা চালাচ্ছে।” আগামী মাসের মধ্যেই পেঁয়াজের এই লাগাম ছাড়া দামে রাশ টানা যাবেও বলেও এদিন আশা প্রকাশ করেন তিনি। তবে পেয়াজের ঝাঁঝ নয় পেঁয়াজের দাম কতদিন মধ্যবিত্তের চোখের জলের কারণ হয় এখন সেটাই দেখার।
বহুমূল্য সবজি! ফুটপাতের দোকান থেকে চুরি গেল আদা, পেঁয়াজ