কৃষিবিল সংক্রান্ত ঝামেলা মিটতেই মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের পথে হরিয়ানার সরকার
কৃষিবিল সংক্রান্ত ঝামেলা মিটতেই মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের পথে হরিয়ানার সরকার
কেন্দ্রীয় সরকার তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের পর শান্ত হয়েছে রাজ্যের পরিস্থিতি৷ তাই এবার মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণের পথে হাঁটছে হরিয়ানা৷ ক্ষমতায় আসার মাত্র দু'বছরের মধ্যে এই পদক্ষেপ নিতে চলেছে তারা। মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবারই চণ্ডীগড়ে হরিয়ানা রাজভবনে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হবে।
মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণে কোন বিষয়ে জোর দেওয়া হয়েছে?
বিজেপি সূত্রে খবর, মূলত দু'টি বিষয়কে মাথায় রেখে মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ হতে চলেছে। প্রথমটা অবশ্যই দুশওয়ান্ত চৌটেলার নেতৃত্বাধীন জোটসঙ্গী জননায়ক জনতা পার্টির স্বার্থসিদ্ধি করা। দ্বিতীয়টি হল ২০২৪ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে জাতপাতের অঙ্কে নিজেদের সুবিধাজনক অবস্থানে রাখা। বিজেপি সাংসদ রমেশ চন্দর কৌশিক এই প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে কৃষক আন্দোলনের জন্য মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ করা যায়নি৷ কৃষক আন্দোলন থেমে যাওয়ায় এই পদক্ষেপ নিতে চলেছে সরকার। তাঁর কথায়, 'অল্প কিছু পরিবর্তন দেখা যাবে মন্ত্রিসভায়৷ ২০২৪ সালের বিধানসভা নির্বাচন নিয়েও ভাবছে দল।'
একাধিক রদবদল!
মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর সমেত মোট ১২ জন মন্ত্রী রয়েছে হরিয়ানার মন্ত্রিসভায়। উপ মুখ্যমন্ত্রী দুশওয়ান্ত চৌটালাও রয়েছেন সেই মন্ত্রিসভায়। কিন্তু নিয়ম বলছে, সর্বোচ্চ ১৪ জন থাকতে পারেন সেই মন্ত্রিসভায়। কাজেই আরও দু'জন মন্ত্রীর যে জায়গা রয়েছেই, তা বলা বাহুল্য। এই মুহূর্তে মুখ্যমন্ত্রী এবং আরও আটজন মন্ত্রী গেরুয়া শিবিরের। উপমুখ্যমন্ত্রী ছাড়া জননায়ক জনতা পার্টির তরফ থেকে রয়েছেন দু'জন। আর একজন মন্ত্রী নির্দল। কিন্তু একজন প্রবীণ বিজেপি নেতার কথায়, এই মন্ত্রিসভায় একাধিক বদল আসতে পারে৷
কী বলছেন বিজেপি নেতা!
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সেই নেতা বলেন, প্রদেশিক রাজনীতি এবং জাতপাতকে মাথায় রেখে কিছু বদল আনা হতে পারে। কিছু মন্ত্রী যেমন অসাধারণ কাজ করেছেন, তেমনই কিছু মন্ত্রীকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতিও দেওয়া হতে পারে৷ এখন সোনেপত এবং রোহতক থেকে কোনও মন্ত্রী নেই। এদিকে বনিক সম্প্রদায় থেকেও কেউ মন্ত্রিত্ব পাননি। এই সব কথা মাথায় রেখেই অন্তিম সিদ্ধান্ত নেবে শীর্ষ নেতৃত্ব।'
লক্ষ্য ২০২৪-এর লোকসভাও!
তবে শুধু ২০২৪ এ হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচন নয় সঙ্গেই ওই বছর লোকসভা নির্বাচনের বিষয়টিকেও গুরুত্ব দিয়ে ভাবছে বিজেপি৷ শেষ লোকসভা নির্বাচনে হরিয়ানাতে ১০টি আসনেই জয়ী হয়েছিল বিজেপি৷ সেই ফলই ধরে রাখতে মরিয়া গেরুয়া শিবির। তাই জাতপাত থেকে উন্নয়ন ও হিন্দুত্ব কোনও তাসই খেলতে বাকি রাখছে না পদ্মব্রিগেডে৷ মন্ত্রীসভা সম্প্রসারণেও তারই ছাপ পড়বে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা৷