দেশে করোনা পরীক্ষার হার দ্রুত বাড়াতে হবে সরকারকে, টুইটে একহাত নিলেন প্রিয়াঙ্কা
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আগেই জানিয়েছে যে মারাত্মক সংক্রামক এই করোনা ভাইরাস। অথচ ভারতে এখনও এই সংক্রমণ রোগ পরীক্ষার হার অনেকটাই নিম্নমুখী। শনিবার কংগ্রেস নেতা প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদ্র জানিয়েছেন যে করোনা ভাইরাসের জন্য তার পরীক্ষার হার অবিলম্বে বাড়ানো ভারতের পক্ষে জরুরি এবং লকডাউনের ফল পাওয়ার জন্য সরকারকে তা দ্রুত করতে হবে।
ভারতে করোনা পরীক্ষার হার বাড়াতে হবে
কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জোর দিয়েছিলেন যে রোগের তীব্রতা, রোগের ক্লাস্টার এবং ফোকাল পয়েন্ট সম্পর্কে অত্যন্ত মূল্যবান তথ্য পরীক্ষার মাধ্যমে পাওয়া যায়। তিনি টুইট করে বলেন, ‘এটা জরুরি যে ভারতে করোনা ভাইরাসের পরীক্ষার হার বাড়াতে হবে। রোগের তীব্রতা, রোগের ক্লাস্টার এবং ফোকাল পয়েন্ট সম্পর্কে অত্যন্ত মূল্যবান তথ্য পরীক্ষার মাধ্যমে পাওয়া যায়।' তিনি টুইট করে আরও বলেন, ‘লকডাউনের ফলাফল দেখতে হলে প্রচুর পরিমাণে করোনার টেস্ট করা দরকার ও দেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোকে সমর্থন করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। সরকারের পদক্ষেপ করা দরকার।'
বান্দ্রার হাসপাতালের ঘটনা নিয়ে সরব প্রিয়াঙ্কা
প্রসঙ্গত, চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের অবস্থাও বেশ খারাপ। অনেক ক্ষেত্রেই উপযুক্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা ছাড়াই করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা করতে হচ্ছে তাঁদের। ফলে অনেক সময়ই এই নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন তাঁরা। প্রিয়াঙ্কা গান্ধী এ নিয়েও সরব হয়েছেন। নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের করোনার সুরক্ষা ও তাঁদের বেতন কাটা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন কংগ্রেস নেত্রী। এই সময় স্বাস্থ্যকর্মীদেরও সহযোগিতার প্রয়োজন রয়েছে, প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘তাঁরা জীবন দান করেন এবং একজন যোদ্ধার মতই তাঁরা ময়দানে নেমে যুদ্ধ করছেন। বান্দাতে খুব বড় অবিচার হয়েছে, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষা ঢাল দেওয়া হয়নি ও তাঁদের বেতনও কাটা হয়েছে।' উত্তরপ্রদেশ সরকারের কাছে তিনি আর্জি জানিয়েছেন বিষয়টি দেখার। প্রিয়াঙ্কা জানিয়েছেন, এখন এই যোদ্ধাদের কথাও শোনা উচিত, তাঁদের সঙ্গে অবিচার হচ্ছে।
বান্দার হাসপাতালে কি ঘটেছে
অভিযোগ উঠেছে, উত্তরপ্রদেশের বান্দা সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসা বিজ্ঞানের ছাত্রছাত্রীরা কাজ করছেন করোনা সংক্রান্ত সুরক্ষা ছাড়াই। সেখানকার এক জুনিয়র ডাক্তার অভিযোগ করেছেন যে, তাঁকে কিছুদিন আগে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্যে একটি আইসোলেশন ওয়ার্ডে পাঠানো হয়। তিনি করোনা আক্রান্তদের কাছাকাছি যাওয়ার আগে সুরক্ষা স্বার্থে স্যানিটাইজার এবং মাস্কের দাবি করেন। জানা গিয়েছে, ওই দাবি করার পরেই নাকি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁকে বরখাস্ত করে দেয়। শুধু তাই নয়, বেতনও কেটে নেওয়া হয় তাঁর।