শবরীমালায় মহিলাদের নিরাপত্তা দেবে না পিনারাই বিজয়নের সরকার
২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্ট শবরীমালায় সব বয়সী মহিলাদের প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ায় গোটা রাজ্য রণক্ষেত্র হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এ বছর যাতে এরকম পরিস্থিতি না হয়, সেইজন্য পুলিশ–প্রশাসন আগে থেকেই ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। জানা গিয়েছে, শবরীমালা সংলগ্ন পাম্বা, নিলাকাল ও এরুমেলিতে ১০,০১৭ জন পুলিশ নিয়োগ করা হবে।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে কেরলের মন্ত্রী সুনীল কুমার বলেছেন 'এ বছর পুলিশ সমাজ কর্মীদের কোনও রকম সুরক্ষা দেবে না। মন্দির কোনও রাজনীতি করার জায়গা নয়। আমাদের প্রাথমিক দায়িত্ব হল এলাকার আইন–শৃঙ্খলা বজায় রাখা।’ এর আগে কেরলের দেবাস্বয়াম মন্ত্রী কাদাকামপল্লী সুরেন্দ্রাণ বলেন যে, 'শবরীমালা কোনও সমাজকর্মীদের রাজনীতি করার জায়গা নয় এবং যাঁরা প্রচার পাওয়ার জন্য শবরীমালাতে প্রবেশ করবেন বলে ঘোষণা করছেন এলডিএফ সরকার এ ধরনের কার্যকলাপকে মোটেও সমর্থন করবে না।’
মন্ত্রী আরও বলেন, 'শবরীমালা সমাজকর্মীদের জায়গা নয় যেখানে তাঁরা নিজেদের কার্যকলাপ দেখাবেন। এখানে অনেকেই রয়েছেন যাঁরা সাংবাদিকদের ডেকে ঘোষণা করেছেন যে মন্দিরে প্রবেশ করবেন। তাঁরা শুধুমাত্র প্রচার পাওয়ার জন্য করছেন। সরকার এ ধরনের বিষয়কে সমর্থন করবেন না।’
মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের মন্ত্রীসভার অনেক মন্ত্রীই জানিয়েছেন যে আইন–শৃঙ্খলা যেন বঝায় রাখা হয় এবং শবরীমালা মন্দির থেকে মহিলা সমাজকর্মীদের দূরে রাখা হোক। প্রসঙ্গত, ১৭ নভেম্বর শবরীমালা মন্দিরের দরজা খোলা হবে। এদিন মণ্ডল পুজো রয়েছে। পুণ্যার্থীরা ইতিমধ্যেই শবরীমালার দিকে রওনা দিয়ে দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর কোনও মহিলা মন্দিরের ভেতর ঢোকে কিনা এখন সে দিকেই চেয়ে রয়েছে সবাই। এন বাসু, যিনি ত্রাভাঙ্কোর দেবাসম বোর্ডের সভাপতি হিসাবে শুক্রবার দায়িত্ব নিলেন, জানান, যাঁরা আইনতভাবে মন্দিরে ঢুকবেন তাঁদের বাঁধা দেওয়া হবে না। তবে নির্দেশ সম্পর্কে আরও স্বচ্ছভাবে বলার দরকার রয়েছে বোর্ডের।
তিনি বলেন, '২০১৮ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর মহিলাদের প্রবেশের রায়ের ওপর কোনও স্থগিতাদেশ নেই। আমরা কাউকে বাধা দেব না। কাউকে আটকাব না। কিন্তু আমরা আরও স্পষ্ট নির্দেশ চাই। আমরা আইনি পরামর্শদাতাদের সহায়তা চেয়েছি এবং দু’দিনের মধ্যেই তা স্পষ্ট হয়ে যাবে। বোর্ডও এই বিষয়টা দেখছে।’