কৃষকদের একরোখা মনোভাবের কাছেই অবশেষে মাথা নত করতে চলেছে সরকার! বদলাতে পারে কৃষি আইন
ইতিমধ্যেই ৯ দিন অতিক্রান্ত হতে চলেছে দিল্লির কৃষি আন্দোলন। সরকারের সাথে একাধিক দফায় বৈঠকের পরও এখনও বিশেষ কোনও সমাধান সূত্র মেলেনি বলেই জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে চাপের মুখে পড়ে এবার তিন কৃষি আইনেই পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছে মোদি সরকার। ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিয়েও নতুন আইনের সম্ভাবনা বলে শোনা যাচ্ছে।

৭ ঘন্টার ম্যারাথন বৈঠকেও মেলেনি কোনও সমাধান সূত্র
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বৃহঃষ্পতিবারের কেন্দ্র-কৃষক প্রায় ৭ ঘন্টার বেশি সময় ধরে ম্যারাথন বৈঠকের পরও বিশেষ বরফ গলেনি বলে সূত্রের খবর। বিজ্ঞান ভবনের ওই বৈঠকে কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর, পাঞ্জাবের বিজেপি সাংসদ ও মন্ত্রী সোম প্রকাশ এবং রেলমন্ত্রী পীযূষ গয়ালের উপস্থিতিতে বৈঠক হয় বলে জানা যাচ্ছে। ছিলেন কৃষক নেতারাও।

কৃষকদের একরোখা জেদের কাছেই মাথা নত করতে চলেছে সরকার
কিন্তু সহজ কথায় গতকালের বৈঠকও কার্যত নিস্ফলাই হয়েছে বলা চলে। অন্যদিকে কৃষকদের একরোখা জেদের কাছেই বর্তমানে কার্যত মাথা নত করতে চলেছে সরকার। এদিকে গাজিয়াবাদ-দিল্লি ২৪ নম্বর জাতীয় সড়ক, উত্তরাখণ্ড-দিল্লি ৯ নম্বর জাতীয় সড়ক, দিল্লি-হরিয়ানার সিঙ্ঘু সীমানায় ক্রমেই বাড়ছে আন্দোলেন তেজ। ইতিমধ্যেই ট্রাক্টর-ট্রাক বোঝাই করে পাঞ্জাব থেকে আরও কয়েক হাজার কৃষক এসে জড়ো হয়েছেন দিল্লি সীমান্তে।

সরকারের ভাবনাচিন্তা নিয়ে কী বলছেন পাঞ্জাবের ক্রান্তিকারী কিষাণ ইউনিয়নের নেতারা
ইতিমধ্যেই ১২ লক্ষের বেশি কৃষক অবস্থান করছেন দিল্লির কাছে। হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, পাঞ্জাব, উত্তরাখণ্ডেও ছড়িয়েছে বিক্ষোভ। সেই রেশ গিয়ে পড়েছে দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলিতে।ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, এমতাবস্থায় রীতিমতো চাপের মুখে পড়েই আইন বদলের কথা ভাবছে কেন্দ্র।পাঞ্জাবের ক্রান্তিকারী কিষাণ ইউনিয়নের নেতা দর্শনপাল বলেন, "আগের থেকে খানিকটা হলেও নিমরাজি হয়েছে সরকার।কৃষির আইনগুলিতে কিছু সংশোধনী আনতে পারে এমন কথাও বলেছে। পাশাপাশি সহায়ক মূল্য নিয়েও ভাবনাচিন্তা চালাচ্ছে।"

ফের শনিবার বৈঠকের সম্ভাবনা
অন্যদিকে দিল্লি ও সন্নিহিত রাজ্যগুলিতে বায়ুদূষণ রোধে খড়পোড়া ঠেকাতে বড়সড় জরিমানারও নিদান দিয়েছিল কেন্দ্র। কিন্তু তাতেও কৃষকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়। এই বিষয়টি নিয়েও সরকার বর্তমানে ভাবনা চিন্তা করছে বলে জানা যাচ্ছে।অন্যদিকে বৃহঃষ্পতিবারের বৈঠকে বিশেষ কাজ না হওয়ায় শুক্রবারও ফের বৈঠকের কথা বলে সরকার। কিন্তু কৃষকরা তা শনিবার করতে বলে। চলমান আন্দোলনের পরবর্তী কৌশল ঠিক করতে ও আলোচনার খসড়া তৈরি করতেই কৃষক নেতারা এই বাড়তি সময় চেয়েছে বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।
