কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠী 'জি-২৩' ২৪ ঘন্টায় দু'বার বৈঠক করলেন, সোনিয়ার সঙ্গে দেখা করলেন আজাদ
কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠী 'জি-২৩' ২৪ ঘন্টায় দু'বার বৈঠক করলেন, সোনিয়ার সঙ্গে দেখা করলেন আজাদ
অভিযোগের পাহাড় জমা হচ্ছিল ২০১৪-র পর থেকেই ২০১৯ সেই পাহাড়ে জ্বালানি তেলের কাজ করলে ২০২২ এর বিধানসভা নির্বাচন অগ্নিস্ফুলিঙ্গ! পাঁচ রাজ্যে কংগ্রেসের শোচনীয় পরাজয়ের পর থেকেই কংগ্রেসের অভ্যন্তরেই দলকে ঢেলে সাজানোর এবং গান্ধী পরিবারের নেতৃত্বকে সরিয়ে নতুন মুখ আনার দাবি উঠছে৷ আর কংগ্রেসের যে গোষ্ঠী মূলত এই দাবির পিছনে রয়েছেন তারাই জি-২৩ নামে পরিচিত। বৃহস্পতিবার প্রবীণ নেতা গুলাম নবি আজাদের বাসভবনে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো বৈঠকে বসেন কংগ্রেসের ২৩ বা জি-২৩ নেতারা। কংগ্রেস সূত্রের খবর আজাদ শুক্রবার কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধীর সাথে দেখা করতে গিয়েছেন৷
কংগ্রেসের মধ্যেই বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর সদস্যরা বৃহস্পতিবার একটি সভা করেছে যেখানে তারা জোর দিয়েছিল যে তারা দলে থেকে কংগ্রেসের সংস্কারের জন্য লড়াই করবে। সূত্রের খবর বৃহস্পতিবার নেতারা, আলোচনার সময়, দলকে শক্তিশালী করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলি নিয়ে আলোচনা করেছিলেন এবং নেতৃত্বকে বোঝানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে 'ভারত' নামক এই ধারণাটিকে বাঁচাতে সংগঠনকে শক্তিশালী করাই তাদের একমাত্র স্বার্থ। আর একমাত্র কংগ্রেসই এটা করতে পারে।
এই ২৩ জনের দল কংগ্রেসে একটি 'অন্তর্ভুক্ত এবং সম্মিলিত নেতৃত্ব' তৈরি করার একদিন পরে জি-২৩ এর সদস্য ভূপিন্দর সিং হুডা রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন এবং দুই নেতা দলের সংগঠনের পুনর্গঠন নিয়ে আলোচনা করেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। শুক্রবারের সোনিয়া-আজাদ বৈঠকটিকে জি-২৩ কে সমঝোতায় নিয়ে আসার জন্য গান্ধী পরিবারের একটি প্রচেষ্টা হিসাবে দেখা হচ্ছে।
পাঁচটি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের সোচনীয় পরাজয়ের পরে নেতৃত্বের উপর অনাস্থা বৃদ্ধির লক্ষণ দেখেছে গান। সূত্রের খবর প্রায় দেড় ঘন্টা ধরে চলা বৈঠকে তারা উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখন্ড, পাঞ্জাব, মণিপুর এবং গোয়ায় দলের পরাজয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী হরিয়ানার রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য হুডাকে ডেকেছিলেন। সেখানেই আলোচনা হয় পাঁচটি রাজ্যের নির্বাচনে দলের অস্বাভাবিক পারফরম্যান্সে।
স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে পরিষেবা দেওয়ার পরেও বিল মেটায়নি রাজ্য! অভিযোগ বেসরকারি হাসপাতালগুলির
সোনিয়া গান্ধী (আজাদের বাসভবনে জি-২৩ নৈশভোজের বৈঠকের আগে) বুধবার আজাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। এরপর থেকে আজাদের বাসায় দফায় দফায় বৈঠক করেছেন জি-২৩ নেতারা। বৃহস্পতিবারের বৈঠকের পর, হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হুডা, জি-২৩ নেতা গুলাম নবি আজাদের বাসায় গিয়েছিলেন। হুডা এবং আজাদ কংগ্রেসকে শক্তিশালী করার জন্য আলোচনা করেছেন বলে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ১০ মার্চ ফল বেরনোর পর কংগ্রেসের পাঁচরাজ্যে মুখ থুবড়ে পড়া নিয়ে দলের অন্যতম প্রবীন কংগ্রেস নেতা গুলাম নবী আজাদ সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, 'আমি হতবাক! রাজ্যের পর রাজ্যে আমাদের পরাজয় দেখে আমার হৃদয় রক্তক্ষরণ করছে। সিডব্লিউসি-র সদস্য গুলাম নবি আজাদ আরও বলেছেন।
আমরা আমাদের পুরো তারুণ্য এবং জীবন পার্টিকে দিয়েছি। আমি নিশ্চিত যে পার্টির নেতৃত্ব সমস্ত দুর্বলতা এবং ত্রুটিগুলি বিবেচনা করবে যা আমার সহকর্মীরা এবং আমি বেশ কিছুদিন ধরে বলে আসছি।' পাশাপাশি কংগ্রেসে গান্ধী পরিবারের উপর তোপ দেগে জি-২৩ নেতা কপিল শিবাল বলেছিলেন,' আমি 'সব কি কংগ্রেস' চাই। কেউ 'ঘর কি কংগ্রেস' চায়। (সবার কংগ্রেস, ঘরের কংগ্রেস/পরিবারের কংগ্রেস)। তাই স্বাভাবিকভাবেই আজাদ-সোনিয়া বৈঠকে চোখ থাকবে অনেকেরই৷