এফএমসিজি ইন্ডাস্ট্রির বৃদ্ধির হারে রেকর্ড পতন, কোন উপায়ে নেওয়া হচ্ছে তৎপরতা
চলতি সপ্তাতেই দেশের জিডিপির পারা পতনের পর 'এফএমসিজি’ ইন্ডাস্ট্রির বৃদ্ধিতেও রেকর্ড হ্রাস লক্ষ্য করা গেল। জুলাই-সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকেই এই শিল্পে প্রায় ৭৫শতাংশ বৃদ্ধি হ্রাস পেতে দেখা যায়। গত সাত বছরে এই প্রথমবার এফএমসিজি শিল্পের বৃদ্ধি রেকর্ড পরিমাণ কমলো বলে ধারণা ওয়াকিবহালের।

কী বলছে সমীক্ষা রিপোর্ট
গ্রামীণ ভারতে ক্রমেই কোলড্রিঙ্ক, পেস্ট্রি সহ একাধিক এফএমসিজি দ্রব্যের চাহিদা কমে যাওয়াকেই এর প্রধান কারণ হিসাবে দুষেছেন বিশেষজ্ঞরা। নিয়েলসনের একটি সমীক্ষার রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে প্রায় গ্রামীণ ভারতে মানুষের আয় ক্রমেই নিম্নমুখী হওয়ায় চলতি বছরের আগের ত্রৈমাসিকের থেকে জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাসে এই জাতীয় পণ্যের বৃদ্ধি হ্রাস পায় প্রায় ৫ শতাংশ। এদিকে গত বছর এই সময় যে এই বৃদ্ধির হার ছিল বর্তমানের থেকে প্রায় ২০ শতাংশ বেশি।

টেক্কা দিচ্ছে গ্রামীণ ভারত
এই ক্ষেত্রে উল্লেখ্য এফএমসিজি শিল্পে মুনাফার প্রশ্নে বরাবরই আশার আলো দেখিয়েছে গ্রামীণ ভারত। নিয়েলসনের ওই রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে এফএমসিজি দ্রব্যে ব্যবহারের নিরিখে প্রায় ৩৬ শতাংশ জায়গা দখল করে সর্বদাই দেশের বড় শহর ও শহরতলি গুলিকে টেক্কা দিয়েছে গ্রামীণ ভারত। ওই সমীক্ষা আরও জানা যাচ্ছে কিছুদিন আগেই দেশব্যাপী গ্রামীণ এলাকাগুলিতে এই জাতীয় দ্রব্য ব্যবহার বৃদ্ধির হার শহরতলির থেকে প্রায় ৩ থেকে ৫ শতাংশ বেশি ছিল। কিন্তু জুলাই সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকেই যা কমে দাঁড়ায় প্রায় ৮ শতাংশে। যদিও অপর একটি সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে গত বছরে এই সময় দেশের শহরতলী গুলিতে এফএমসিজি দ্রব্যে ব্যবহারের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় প্রায় ১৪ শতাংশ।

কেন পড়ছে প্রভাব
অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশের ধারণা সাম্প্রতিক সময়ে দেশের জিডিপির লাগাতার পারা পতন, দেশের বিভিন্ন প্রদেশে বন্যা, বেকারত্ব বৃদ্ধির ফলে উল্লেখযোগ্য ভাবে কমেছে গ্রামীণ মানুষের উপার্জন। স্বাভাবিক ভাবেই তার প্রভাব পড়েছে এফএমসিজি প্রোডাক্টের উপরেও। যদিও এই ভরাডুবির মাঝেও দক্ষিণ ভারতের পাশাপাশি এফএমসিজি দ্রব্য বিক্রির হার ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে বাণিজ্য নগরী মুম্বই। নিয়েলসন সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে এই শহরে চলতি অর্থ বর্ষে এফএমসিজি দ্রব্য বিক্রির হার বর্তমানে ৯-১০শতাংশ।
মিশন ২০২০, তৃণমূল ৬০০ 'সৈনিক’কে ময়দানে নামাল বিজেপিকে আটকাতে