করোনায় যে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে ভোপালে তারা ১৯৮৪ সালের গ্যাস লিক ঘটনায় আক্রান্ত
করোনায় যে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে ভোপালে তারা ১৯৮৪ সালের গ্যাস লিক ঘটনায় আক্রান্ত
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ মধ্যপ্রদেশেও মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে। ইন্দোর ও ভোপালে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। বুধবার সরকারিভাবে জানা গিয়েছে যে ভোপালে যে পাঁচজন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন তাঁরা প্রত্যেকে ১৯৮৪ সালের ভোপাল গ্যাস লিক ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন।
ভোপাল গ্যাস লিকে ক্ষতিগ্রস্তদের মৃত্যু
গত ২১ মার্চ কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, যারা ভোপাল গ্যাস লিক ঘটনায় জীবিতদের জন্য কাজ করেন, তারা উদ্বেগ প্রকাশ করে চিঠি লিখে সরকারকে জানায় যে এই ঘটনায় আক্রান্ত মানুষদের পাঁচগুণ বেশি করোনা সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সরকারিভাবে বলা হয়েছে, ‘কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে যে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে তাঁরা প্রত্যেকে ভোপাল গ্যাস লিক ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত।'
গ্যাস লিকে আক্রান্তদের হাসপাতাল করোনা কেন্দ্রে পরিণত
ভোপাল গ্রুপ অফ ইনফরমেশন অ্যান্ড অ্যাকশন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের রচনা ধিঙ্গরা জানান, গ্যাস দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যাওয়া লোকদের চিকিৎসার জন্য উৎসর্গীকৃত শহরের একটি হাসপাতাল করোনা ভাইরাস রোগীদের জন্য একটি কেন্দ্রে পরিণত করা হয়েছে, যার ফলে এই লোকদের অসুবিধা হচ্ছে।
ভোপাল গ্যাস লিক ঘটনা
প্রসঙ্গত, ভোপাল শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত ইউনিয়ন কার্বাইড ইন্ডিয়া লিমিটেড-এর (বর্তমানে এভারেডি ইন্ডাস্ট্রিজ ইন্ডিয়া লিমিটেড নামে পরিচিত) একটি কীটনাশক কারখানা থেকে দুর্ঘটনাবশত ৪০ টন মিথাইল আইসোসায়ানেট (এমআইসি) পরিবেশে ছড়িয়ে পড়ে বহু মানুষ মারা যায়। ১৯৮৪ সালের ৩রা ডিসেম্বর ভোরে একটি ট্যাংকে রক্ষিত এমআইসি অতিরিক্ত উত্তপ্ত হয়ে পড়ে এবং বাতাসের চেয়ে ভারী গ্যাস আকারে মাটি ঘেঁষে বের হয়ে আশেপাশের রাস্তাঘাটে ছড়িয়ে পড়ে। এতে তৎক্ষণাত হাজার হাজার ঘুমন্ত লোকের মৃত্যু ঘটে। শহরের পরিবহন ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে এবং বহু লোক পালাতে গিয়ে পদপিষ্ট হন। ছড়িয়ে পড়া গ্যাসে আরও প্রায় ১৫০,০০০ থেকে ৬০০,০০০ লোক আক্রান্ত হন এবং পরবর্তীতে এদের মধ্যে প্রায় ১৫,০০০ মারা যান