স্বামীর অর্থ পাওয়ার দাবি করতে পারবে প্রথম স্ত্রী, জানালো বম্বে হাইকোর্ট
স্বামীর অর্থ পাওয়ার দাবি করতে পারবে প্রথম স্ত্রী, জানালো বম্বে হাইকোর্ট
মঙ্গলবার বম্বে হাইকোর্টের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে আইন অনুযায়ী, যদি কোনও ব্যক্তির দু’টি স্ত্রী থাকে এবং দু’জনেই স্বামীর অর্থ পাওয়ার দাবি জানান তবে শুধুমাত্র প্রথম স্ত্রী সেই অর্থ পাবেন। তবে দু’টি বিয়ের জন্য হওয়া তাঁদের সন্তানদের বাবার অর্থে পুরো অধিকার রয়েছে।
কোভিডে মৃত্যু হয় আরপিএফের সাব–ইনস্পেক্টরের
বিচারপতি এসজে কাথাওয়ালা ও মাধব জামদারের বেঞ্চ জানিয়েছে যে ঔরঙ্গাবাদ হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চও একই ধরনের মামলায় একই নির্দেশ দেয়। বেঞ্চের নেতৃত্বে থাকা বিচারপতি কাথাওয়ালার কাছে সুরেশ হাতানকারের দ্বিতীয় স্ত্রীয়ের আবেদনের শুনানি ছিল। মহারাষ্ট্রের আরপিএফের সাব-ইনস্পেক্টর সুরেশ হাতানকর ৩০ মে মারা যান কোভিড-১৯-এ। যেহেতু রাজ্য সরকারের দায়িত্বে থাকাকালিন ওই পুলিশ কর্মীর কোভিডে মৃত্যু হয় তাই সরকারের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তিনি ক্ষতিপূরণ বাবদ ৬৫ লক্ষ টাকা পাবেন। হাতানকরের স্ত্রী বলে দাবি করা দুই মহিলাই ওই অর্থের পরিমাণ দাবি করেন।
অর্থের কিছু অংশ দেওয় হোক দ্বিতীয় স্ত্রীকে
এরপর হাতনাকারের দ্বিতীয় স্ত্রীয়ের মেয়ে শ্রদ্ধা বম্বে হাইকোর্টের কাছে আবেদন করেছিলেন যাতে তাঁকে এবং তাঁর মাকে অনাহার ও গৃহহীনতা থেকে বাঁচাতে ক্ষতিপূরণের পরিমাণের আনুপাতিক অংশ দেওয়া হয়। মঙ্গলবার, সরকার পক্ষের আইনজীবী জ্যোতি চাভন বেঞ্চকে জানিয়েছিলেন যে এই অর্থের অধিকার কে পাবে, এই সিদ্ধান্তের জন্য হাইকোর্ট যে সময় নেবে, তার জন্য রাজ্য ক্ষতিপূরণের পরিমাণ আদালতে জমা দেবে। ঔরঙ্গাবাদ বেঞ্চের রায়ের বিষয়ে চাভন বম্বে হাইকোর্টকে অবগত করে।
সম্পত্তি ও অর্থের ওপর প্রথম স্ত্রীয়ের অধিকার
হাইকোর্টের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘আইন অনুযায়ী হয়ত দ্বিতীয় স্ত্রী কিছুই পাবেন না। কিন্তু দ্বিতীয় পক্ষের ও প্রথম পক্ষের সন্তান ও প্রথম পক্ষের স্ত্রী এই অর্থ পেতে পারেন।'
দ্বিতীয় পরিবার সম্পর্কে জানতেন না প্রথম স্ত্রী
ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে আদালতের সামনে উপস্থিত হয়ে হাতানকরের প্রথম স্ত্রী শুভদা ও দম্পতির মেয়ে সুরভী দাবি করেছেন যে হাতানকরের ‘অন্য একটি পরিবার' আছে বলে তাঁদের জানা নেই। তবে শ্রদ্ধার আইনজীবী প্রেরক শর্মা আদালতকে জানিয়ে ছিলেন যে সুরভী ও শুভদা হাতানকরের দুটি বিবাহ সম্পর্কে জানতেন এবং তাঁরা পূর্বের অনুষ্ঠানে ফেসবুকে সুরভির সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। শর্মা এও জানিয়েছেন যে হাতানকর তাঁর দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী ও মেয়ের সঙ্গেই থাকতেন ধারাভিতে রেল পুলিশের আবাসনে। তবে হাইকোর্ট হাতানকরের প্রথম পক্ষের স্ত্রী ও কন্যাকে নির্দেশ দিয়েছে যে আদৌ তাঁরা হাতানকরের দ্বিতীয় বিয়ে সম্পর্কে জানতেন কিনা তা স্পষ্ট করে উল্লেখ করে বৃহস্পতিবার হলফনামা জমা দিতে বলেছে।
আইন মেনে দু’টি বিয়ে
১৯৯২ সালে হাতানকরের প্রথম বিয়ে হয় এবং ১৯৯৮ সালে দ্বিতীয় বিয়ে। জানা গিয়েছে দু'টি বিয়ে আইনানুগভাবে ও হিন্দু বিবাহ আইন মেনে সম্পন্ন হয়।
রাজস্ব ঘাটতির জেরে তীব্র সঙ্কটে রাজ্যগুলি! জিসএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে মিলতে পারে রফাসূত্র ?