পুলিসের আশ্বাসে অবশেষে উন্নাওয়ের নির্যাতিতার অন্ত্যেষ্টিতে রাজি হল পরিবার
পুলিসের আশ্বাসে অবশেষে উন্নাওয়ের নির্যাতিতার অন্ত্যেষ্টিতে রাজি হল পরিবার
মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে আসতে হবে বাড়িতে। তবেই তাঁরা নির্যাতিতার দেহ সমাধিস্থ করবেন। এমনই দাবিতে অনড় ছিলেন উন্নাওয়ের নির্যাতিতার পরিবার। দীর্ঘক্ষণ এই নিয়ে টানাপোড়েনের পর অবশেষে পুলিসের আশ্বাসেই অন্ত্যেষ্টিতে রাজি হল পরিবার।
পুলিসি নিরাপত্তায় অন্ত্যেষ্টি
অবশেষে সমাধিস্থ করা হচ্ছে উন্নাওয়ের নির্যাতিতাকে। পুলিসের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা দফায় দফায় তাঁর পরিবারের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। লখনউয়ের ডিভিশনাল পুলিস কমিশনার মুকেশ মেশরাম সহ পুলিসের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনায় বলেছে। দোষীদের নজিরবিহীন শাস্তির প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তাঁরা। তারপরেই নির্যাতিতার অন্ত্যেষ্টিতে রাজি হয় পরিবার। কড়া পুলিসি নিরাপত্তায় গ্রামেই সমাধিস্থ করা হচ্ছে তাঁকে। সেখানে উপস্থিত রয়েছেন সমাজবাদী পার্টির নেতারা। অন্ত্যেষ্টির পর গ্রামে একটি স্মরণ সভায় আয়োজন করেছেন তাঁরা।
মুখ্যমন্ত্রীকে আসতে হবে
গতকাল রাত ৯টা নাগাদ দিল্লি থেকে উন্নাওয়ে পৌঁছয় নির্যাতিতার দেহ। সকাল থেকে পরিবারের লোকেরা দেহ নিয়ে অবস্থানে বসেছিলেন। তাঁরা দাবি জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে তাঁদের বাড়িতে এসে কথা বলতে হবে। সেটা না করা পর্যন্ত কোনওভাবেই তাঁরা দেহ সৎকার করবেন না বলে হুঁশিয়ারি দেন। এই সকাল থেকে প্রবল উত্তেজনা ছিল উন্নাওয়ে। বিজেপি নেতা-মন্ত্রীরা সেখানে গেলে গ্রামবাসীরা গো ব্যাক স্লোগান দিতে থাকেন।
নির্যাতিতাকে পুড়িয়ে হত্যা
আদালতে শুনানির জন্য যাওয়ার পথে নির্যাতিতাকে মারধর করে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল গণধর্ষণে অভিযুক্তরা। গায়ে আগুন নিয়েই এক কিলোিমটার হেঁটে অবশেষে এক জনের কাছ ফোন চেয়ে পুলিসকে ফোন করে। তারপরে পুলিস গিয়ে উদ্ধার করে তাকে। তিন দিন ধরে যুদ্ধ করার পর অবশেষে শুক্রবার রাতে মারা যান তিনি। মৃত্যু আগে বয়ানও দিয়েছেন তিনি।