দেশের করোনা সঙ্কটের সময় জনসাধারণের জন্য একগুচ্ছ পরিকল্পনা নিয়ে আসল ইএসআইসি
দেশের করোনা সঙ্কটের সময় জনসাধারণের জন্য একগুচ্ছ পরিকল্পনা নিয়ে আসল ইএসআইসি
কোভিড–১৯ মহামারির জন্য দেশ এক চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে। দেশের বেশিরভাগ অংশেই লকডাউন ও সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা হয়েছে। যাতে এই সঙ্কটের সঙ্গে দেশ লড়াই করতে পারে। কর্মচারিদের রাজ্য বিমা কর্পোরেশন তাদের অংশীদার ও জনসাধারণকে স্বস্তি দেওয়ার জন্য বহু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
১০৪২টি শয্যা সহ করোনা ভাইরাসের হাসপাতাল
জানা গিয়েছে, গোটা দেশ জুড়ে ১০৪২টি আইসোলেশন শয্যা সহ ইএসআইসি হাসপাতালকে কোভিড-১৯ হাসপাতাল হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। এগুলি হল,
১) গুজরাতের আঙ্কলেশ্বর: ১০০ টি শয্যা
২) হরিয়ানার গুরুগ্রাম: ৮০টি শয্যা
৩) গুজরাতের ভাপি: ১০০টি শয্যা
৪) রাজস্থানের উদয়পুর: ১০০টি শয্যা
৫) জম্মু: ৫০টি শয্যা
৬) হিমাচল প্রদেশের বাড্ডি: ১০০ টি শয্যা
৭) ঝাড়খণ্ডের আদিত্যপুর: ৪২টি শয্যা
৮) পশ্চিমবঙ্গের জোকা: ৪৭০টি শয্যা
১১৮৪টি শয্যা সহ কোয়ারান্টাইন সুযোগ
এগুলি ছাড়াও দেশজুড়ে কর্মচারি রাজ্য বিমা কর্পোরেশনের ১১১২টি আইসোলেশন শয্যা রয়েছে। এছাড়াও ১৯৭টি ভেন্টিলেটর সহ ৫৫৫টি আইসিইউ/এইচডিএউ শয্যা উপলব্ধ রয়েছে এইসব হাসপাতালগুলিতে। হরিয়ানার ফরিদাবাদের ইএসআইসি সহাসপাতালে কোভিড-১৯-এর পরীক্ষার বন্দোবস্ত রয়েছে।
কোয়ারান্টাইন সুযোগ রয়েছে (মোট ১১৮৪টি শয্যা সহ) এরকম ইএসআইসি হাসপাতালগুলি হল,
আলওয়ার (রাজস্থান): ৪৪৪ শয্যা
বিহতা, পাটনা (বিহার): ৪৪০ শয্যা
গুলবার্গা (কর্নাটক): ১০০ শয্যা
ইএসআই সুবিধাভোগীদের জন্য বহু উদ্যোগ
এই কঠিন সময়ে ইএসআই সুবিধাভোগীদের অসুবিধা কমিয়ে আনার জন্য ইএসআইসি লকডাউনের সময়কালে ব্যক্তিগত রসায়নবিদদের কাছ থেকে সুবিধাভোগীদের দ্বারা ওষুধ ক্রয়ের অনুমতি দিয়েছে। যা ইএসআইসি থেকে ক্ষতিপূরণ দিয়ে দেওয়া হবে। সন্দেহজনক / নিশ্চিত হওয়া কেসের ক্ষেত্রে কেবল কোনও ইএসআইসি হাসপাতালকে কোভিড-১৯ হাসপাতাল হিসাবে ঘোষণা করা হলেও, টাই-আপ হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার বিকল্প ব্যবস্থা করা হয়েছে। ইএসআই সুবিধাভোগীরা জরুরি ক্ষেত্রে কোনও সুপারিশ চিঠি ছাড়াই টাই-আপ রয়েছে এমন হাসপাতালগুলিতে পরিষেবা পাবেন।
নোডাল অফিসার যোগাযোগ রাখবে কেন্দ্র–রাজ্যের সঙ্গে
প্রত্যেকটি ইএসআইসি হাসপাতালগুলিতে করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে রাজ্য/ কেন্দ্রের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার জন্য মনোনীত করা হয়েছে নোডাল অফিসারদের। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের রোজকার নির্দেশ অনুসরণ করে চলছে ইএসআইসি হাসপাতালগুলি। তারা মাস্ক, করোনা ভাইরাসের কিটস ও পিপিইও পর্যাপ্ত পরিমাণে মজুত করে রাখছে।