বিভিন্ন সংস্থাকে কর্মীদের বেতন না কাটতে বা ছাঁটাই না করার আবেদন করেছে ইপিএফও
বিভিন্ন সংস্থাকে কর্মীদের বেতন না কাটতে বা ছাঁটাই না করার আবেদন করেছে ইপিএফও
করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে দেশজুড়ে চলছে লকডাউন। যেখানে বিভিন্ন সংস্থা তাদের অপরেশনগুলিকে স্থগিত করতে বাধ্য হচ্ছে অথবা কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ চালাতে বলছে, এমন পরিস্থিতিতে অবসরকালীন তহবিল সংস্থা প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন (ইপিএফও) কর্মচারীদের বেতন না কাটার বা তাঁদের ছাঁটাই না করার জন্য নিয়োগকর্তাদের অনুরোধ করেছে।
কর্মীদের বেতন না কাটার আবেদন মোদীর
গত মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভারতীয় কর্পোরেটদের কাছে মানবিকভাবে কাজ করার এবং করোনা ভাইরাস মহামারির মধ্যে কর্মচারীদের বেতন না কাটার আবেদন করেছিলেন। যদিও এ প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন যে কোভিড-১৯-এর জন্য সংস্থাগুলির রাজস্বও মারাত্মকভাবে প্রভাবিত হয়েছে তাই এই পরিস্থিতিতে কর্মীদের কোনও আর্থিক উৎসাহ ছাড়াই পুরো বেতন দেওয়া সংস্থার পক্ষে কঠিন হয়ে পড়বে। এমএসএমইগুলির মতো কিছু ব্যবসা স্থায়ীভাবে বন্ধ হওয়ার পথে রয়েছে কারণ কোনও রাজস্ব আদায় না করে ভাড়া ও বেতনের মতো নির্ধারিত ব্যয় করা তাদের পক্ষে কঠিন হয়ে পড়েছে।
প্রয়োজনীয় পরিষেবা ছাড়া সবই বন্ধ
এখানে উল্লেখযোগ্য প্রয়েজনীয় পরিষেবা যেমন খাদ্য, মুদি দোকান, ওষুধের দোকানগুলি বাদে বেশিরভাগ অন্যান্য ব্যবসা লকডাউনের কারণে বন্ধ রয়েছে। লকডাউন হওয়ার আগে শপিংমলগুলির আউটলেটে থাকা খুচরা বিক্রেতারা রাজস্ব সঙ্কট বোধ করতে শুরু করেছিল কারণ অনেক রাজ্য ভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে মলগুলি বন্ধ করার নির্দেশ দেয়।
বিভিন্ন ক্ষেত্রেই লকডাউনের প্রভাব মারাত্মক
আন্তঃরাজ্য বিমানসংস্থার ওপর লকডাউনের প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়েছে, তারা ইতিমধ্যেই কর্মীদের বেতন কাটবে বলে ঘোষণা করেছে যাতে তাদের ব্যবসা পড়ে না যায়। রিপোর্ট অনুযায়ী, রেস্তোরাঁ চেইন নিয়ন্ত্রক জুবিলান্ট ফুড ওয়ার্কস, ওয়েস্টলাইভ ডেভলপমেন্ট যেটি ম্যাক ডোনাল্ডের চেইন, ডোমিনোস এদের পক্ষ থেকে শপিং মল কর্তৃপক্ষদের অনুরোধ করা হয়েছে যে লকডাউনের সময় তাদের ভাড়া যেন কিছুটা কমিয়ে স্বস্তি দেওয়া হয়।