মৃত্যুর দু’সপ্তাহ আগে অনাহারে ছিল হাতিটি, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে প্রকাশিত
মৃত্যুর দু’সপ্তাহ আগে অনাহারে ছিল হাতিটি, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে প্রকাশিত
কেরলের মালাপ্পুরমে আতসবাজি শুদ্ধু আনারস খেয়ে মুখের মধ্যে তা ফেটে মৃত্যু হয় এক গর্ভবর্তী হাতির। এই ঘটনায় গোটা দেশজুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠে। জানা গিয়েছে, আতজসবাজির ফাটার কারণে যে যন্ত্রণা সে পেয়েছে তার পাশাপাশি ওই হাতিটি দু’সপ্তাহ অনাহারেও ছিল। এ জাতীয় পরিণতি, যখন সে গর্ভবতী ছিল, সত্যিই তাকে এমন একটি মৃত্যুর দিকে চালিত করছিল যা কোনও প্রাণীর কোনওদিন কাম্য না হয়।
মুখে বিস্ফোরণের ফলে দু’সপ্তাহ জল–খাবার খেতে পারেনি
ওই হাতিটির ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সামনে এসেছে। সেখানে বলা হয়েছে তার মৃত্যুর দু'সপ্তাহ আগে পর্যন্ত সে কিছু খাবার খায়নি এমনকি জলও পান করেনি। ময়নাতদন্তে এও উঠে এসেছে যে আতসবাজির ফাটার ফলে গর্ভবতী হাতিটির মুখে প্রধান ক্ষতের সৃষ্টি হয় এবং সে আঘাত পায়। পোস্টমর্টেম রিপোর্টে এও বলা হয়েছে যে ‘এর ফলে ওই অঞ্চলে উদ্বেগজনক বেদনা ও সঙ্কটের সৃষ্টি হয়েছিল এবং প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে প্রাণীটিকে খাদ্য ও জল গ্রহণ থেকে বিরত রেখেছিল।'
ফুসফুসে জল ঢুকে মৃত্যু হাতির
ময়ানাতদন্তের রিপোর্টে এও বলা হয়েছে যে যন্ত্রণা কমাতে জলে অর্ধেক ডোবার ফলে ফুসফুসে জল ঢুকে শ্বাস-প্রশ্বাস স্তব্ধ করে দেয় এবং গর্ভবতী হাতির তৎক্ষণাত মৃত্যু ঘটে। কেরলের পালাক্কাদ জেলার ভেল্লিয়ার নদী থেকে মৃত অবস্থায় হাতিটিকে উদ্ধার করা হয়।
সোশ্যাল মিডিয়া সরব
গর্ভবতী হাতিকে বাজি সহ আনারস খাইয়ে তাঁর মুখে বিস্ফোরক ঘটিয়ে তাকে যন্ত্রণা দিয়ে হত্যা করার ঘটনা সামে আসতেই রাগে ফুঁসে ওঠে সোশ্যাল মিডিয়া। যদিও এখনও এটা স্পষ্ট নয় যে স্থানীয়রা ইচ্ছাকৃতভাবে হাতিটিকে আনারসটি খাইয়ে ছিল নাকি স্থানীয় এলাকায় বন্য প্রাণীদের দৌরাত্ম্য রুখতে এটি ফাঁদ হিসাবে রাখা ছিল ওই ফলটি হাতিটি খেয়েছে।
দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস কেরল সরকারের
কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন আশ্বাস দিয়েছেন যে এ ধরনের ঘৃণ্য অপরাধের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মুখ্যমন্ত্রী বৃহস্পতিবার বলেন, ‘বন দপ্তর এই ঘটনার তদন্ত করছে এবং দোষীরা রেহাই পাবে না।
তিনজনকে সনাক্ত! কেরলে হাতি হত্যার ঘটনা নিয়ে টুইট পিনারাই বিজয়নের