শেষে কৃষিতেও খুলছে পুঁজিবাদের দরজা? নয়া বিল নিয়ে প্রতিবাদে রাস্তায় পাঞ্জাব-হরিয়ানার কৃষকেরা
শেষে কৃষিতেও খুলছে পুঁজিবাদের দরজা? নয়া বিল নিয়ে প্রতিবাদে রাস্তায় পাঞ্জাব-হরিয়ানার কৃষকেরা
কৃষি বিল নিয়ে ক্রমেই চড়ছে রাজ্য রাজনীতির পারদ। ইতিমধ্যেই নয়া কৃষি বিলের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে রাস্তায় নেমেছে পাঞ্জাব হরিয়ানার একটা বড় অংশের কৃষক। নয়া তিনটি বিলকেই 'কৃষি-বিরোধী’ তকমাও দিয়েছে পাঞ্জাবে বিজেপির দীর্ঘদিনের জোট সঙ্গী শিরোমনি অকালি দলও। এদিকে এখনও এই বিল নিয়ে আগের অবস্থানেই অনড় রয়েছে কেন্দ্র। কিন্তু এই বিল বিতর্ক সামনে আসার পরেই একাধিক রাজ্যে কৃষকদের মধ্যে অসন্তোষ বাড়ার পিছনে মূল কারণ তাহলে কি ?
কৃষি বিলের বিরোধিতায় দেশজুড়ে আন্দোলনের ডাক
এদিকে গত বৃহঃষ্পতিবার সংসদে পাশ হয় ফার্মার্স (এমপাওয়ারমেন্ট অ্যান্ড প্রোটেকশন) এগ্রিমেন্ট অন প্রাইস অ্যাসিওরেন্স অ্যান্ড ফার্ম সার্ভিসেস বিল এবং ফার্মার্স প্রডিউস ট্রেড অ্যান্ড কমার্স (প্রমোশন অ্যান্ড ফ্যাসিলিটেশন) বিল। তারপর তা নিয়ে ক্রমেই উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্য-রাজনীতি। সরাসরি বিরোধিতার রাস্তায় হাঁটাতে দেখা যায় কংগ্রেস সহ অন্যান্য বিরোধীদলের সাংসদেরও। ইতিমধ্যেই বিলের প্রতিবাদে দেশজুড়ে বৃহত্তর কৃষক আন্দোলনের ডাক দিয়েছে সর্বভারতীয় কিষাণ সংঘর্ষ সমন্বয় কমিটি।
সংঘাতের রাস্তায় বিজেপির দীর্ঘদিনের জোট সঙ্গী শিরোমনি অকালি দলও
এদিকে এই বিল বিরোধীতা করে গতকালই পদত্যাগ করতে দেখা যায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা শিরোমণি অকালি দলের লোকসভার সাংসদ হরসিমরত কৌর বাদলকে। এদিকে গত সোমবার সংসদে পাশ হয়ে যায় অত্যাবশ্যক পণ্য (সংশোধনী) বিল। তখন অবশ্য এই বিলে নিজেদের সম্মতিই জানিয়েছিল অকালি দল। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা বর্তমানে কৃষক অসন্তোষ বাড়তে থাকায় রাজ্যবাসীর মন পেতই বিজোপি বিরোধী অবস্থান নিয়েছে অকালি দল।
বিলের সপক্ষে কি যুক্তি কেন্দ্রের ?
এদিকে কেন্দ্রের সাফ যুক্তি বিল নিয়ে কৃষকদের ভুল বোঝাচ্ছে বিরোধীরা। তাদের যুক্তি এই বিল আইনে পরিণত হলে কৃষিক্ষেত্রে খুব দ্রুতই ফোড়ে বা দালালদের আধিপত্য কমবে। যার ফলে কিছু সময়ের মধ্যেই অনেকটা আয় বাড়বে কৃষকদের। একইসাথে এই বিলের মাধ্যমে রাজ্যগুলিতে চুক্তি-ভিত্তিক চাষ ব্যবস্থা আইনসিদ্ধ করতেও চাইছে কেন্দ্র। পাশাপাশি কৃষিপণ্য বিপণন নিয়ে যে আইন রয়েছে তা দূর করে আন্তঃরাজ্য কৃষি পণ্যের অবাধ বাণিজ্যের পথে হাঁটতে চাইছে কেন্দ্র।
কৃষিব্যবস্থা আরও বেশি করে পুঁজিবাদীদের হাতে তুলে দিতে চাইছে কেন্দ্র ?
এদিকে শুরু থেকেই অকালি দল বলে আসছে এই বিল পেশের আগে তাদের সঙ্গে কোনোরকম আলোচনাই করেনি বিজেপি। কংগ্রেস সহ অন্যান্য বিরোধীদের যুক্তি সংবিধান অনুযায়ী, কৃষিক্ষেত্রের অবকাঠামো পরিবর্তনের অধিকার শুধুমাত্র রাজ্যের। কিন্তু এই ক্ষেত্রে রাজ্যগুলির থেকে কোনও আগাম পরামর্শ না নিয়েই তাদের হাত থেকে বলপূর্বক ক্ষমতা ছিনিয়ে নিতে চাইছে কেন্দ্র। এই আইন বাস্তবায়িত হলে, দেশের কৃষিক্ষেত্র সহজেই পুঁজিবাদীদের হাতে চলে যাবে বলেও মত দেশের বড় অংশের বিরোধী রাজনৈতিক দল গুলির।
প্রতীকী ছবি
'চাপের মুখে পড়েই ইস্তফা হরসিমরত কৌরের!’, কৃষি বিল বিতর্কে সাফ যুক্তি বিজেপির