চিকেন বা মটন নয়, বরং কাঁঠাল বিরিয়ানির চাহিদাই এখন সবার ওপরে
করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে মুরগি ও পাঁঠার মাংস খাওয়ার চল বেশ অনেকটাই কমে গিয়েছে খাদ্য রসিকদের মধ্যে। তার বিকল্প হিসাবে অনেকেই পছন্দ করছেন এঁচোড়। যা সুন্দরভাবে রান্না করলে মাংসেরই সমতুল্য লাগে খেতে।

এঁচোড়ের চাহিদা তুঙ্গে
চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় বাজারে এঁচোড়ের দামও স্বাভাবিকভাবে বেড়ে গিয়েছে। প্রতি কিলোগ্রাম এক কেজি এঁচোড়ের দাম ১২০ শতাংশ বেড়ে তা দাঁড়িয়েছে ১২০ টাকায়। মুরগির মাংসের তুলনায় এখনও দামি এঁচোড়। মুরগির মাংসের চাহিদা কমে যাওয়ায় এখন তা প্রতি কেজি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পুর্ণিমা শ্রীবাস্তব, যাঁর পরিবার নিয়মিত আমিষ খাবার খান, তিনি বলেন, ‘মটন বিরিয়ানি খাওয়ার চেয়ে কাঁঠাল বিরিয়ানি খাওয়া ভালো। এটার স্বাদও খুবই ভালো। কিন্তু সমস্যা হল সবজি বাজারে এঁচোড় সব বিক্রি হয়ে দিয়েছে এবং এটা পাওয়া খুবই কঠিন।'

চিকেন মেলার আয়োজন
করোনা আতঙ্ক পোলট্রি ব্যবসা লাটে উঠেছে। সম্প্রতি পোলট্রি ফার্ম অ্যাসোসিয়েশন গোরখপুরে চিকেন মেলার আয়োজন করেছিল। মুরগি বা অন্য কোনও পাখির মাধ্যমে এই সংক্রমক ছড়ায় না, এই বিভ্রান্তি ভাঙতেই এই মেলার আয়োজন করা হয়েছিল। পোলট্রি ফার্ম অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান বিনীত সিং বলেন, ‘এমনকী আমরা মাত্র ৩০ টাকায় মুরগির সব পদ দিচ্ছিলাম যাতে মানুষ এই মুরগির মাংসের স্বাদ নিতে পারে। মেলার জন্য ঐমরা হাজাক কেজি মাংস রান্না করেছিলাম এবং পুরো স্টক শেষ হয়ে গিয়েছিল।' যদিও এই মেলার মাধ্যমে মানুষের ভেতর থেকে মুরগি, মটন বা মাছ খেলে করোনা ভাইরাস হতে পারে এই ভয় কাটানো যায়নি।

মুরগি থেকে করোনা ভাইরাস
কিছু কিছু জায়গায় মুরগির মাংসের আতঙ্কের কারণে, জ্যান্ত মুরগি কেটে করোনা ভাইরাসের ভয় মানুষের মধ্য দিয়ে কাটানোর চেষ্টা চলছে। কর্নাটকের বেলগাওয়িতে এক মুরগি বিক্রেতা জ্যান্ত মুরগিদের পুড়িয়ে দেন। এই ঘটনাটি ঘটেছে নুলসুরের গোকাকে। এক মুরগি বিক্রেতা মাজির আহমেদ মকন্দর ৬ হাজার মুরগিকে মাটি চাপা দিয়ে পুড়িয়ে দেন। কারণ করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে মুরগির মাংসের চাহিদা বাজারে কমে গিয়েছে।