আজই শেষ চেষ্টা, বিক্রমের চাঁদে টিকে থাকার সময় শেষের পথে
আজই শেষ হয়ে যাচ্ছে চন্দ্রযান-২ এর জীবন। ১৪ দিনের লড়াই শেষ হয়ে যেতে বসেছে।
আজই শেষ হয়ে যাচ্ছে চন্দ্রযান-২ এর জীবন। ১৪ দিনের লড়াই শেষ হয়ে যেতে বসেছে। কারণ আজ থেকেই চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে রাত্রি শুরু হয়ে যাচ্ছে। অন্ধকারে ঢেকে যাবে দক্ষিণ মেরু। থাকবে না কোনও সূর্যের আলো। যার ফলে সৌরশক্তি থেকেও শক্তি সংগ্রহ করতে পারবে না বিক্রম, ১৪ দিনে ব্যাটারির ক্ষমতায় ক্ষীণ হয়ে এসেছে।
আঁধার নামছে দক্ষিণ মেরুতে
চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে এই প্রথম কোনও দেশ যান পাঠিয়েছে। সেখানকার পরিবেশ সম্পর্কে এখনও ভালকরে ওয়াকিবহাল নন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। এই অপরিচিত জায়গায় ভারতের চন্দ্রযান সফর করেছে। বিক্রমের সঙ্গে যোগাযোগ করা না গেলেও সে যে দক্ষিণ মেরুতেই পড়েছে এমন দাবি করেছেন ইসরো প্রধান কে শিবন। তার পর থেকে বিক্রমের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে। কিন্তু আজ থেকেই রাত্রি শুরু হচ্ছে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে। তাপমাত্রা একেবারে মাইনাস ২০০ ডিগ্রি সেলসিয়াল পর্যন্ত পৌঁছে যেতে পারে। এই তাপমাত্রার হ্রাসের কারণে বিক্রমের সব যন্ত্র নিষ্ক্রিয় হয়ে যাবে। আর বিক্রমের সঙ্গে যোগাযোগের কোনও আশাই থাকবে না।
চাঁদের বুকে আঁধারে বিক্রম
সাত সেপ্টেম্বর চাঁদের বুকে নামার কথা ছিল বিক্রমের। ঠিক শেষ সময়ে গিয়ে কক্ষ পথ থেকে ছিটকে যায় বিক্রম। তারপর আর তার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। নাসা যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও সেটা সফল হয়নি। ইসরো যদিও বারবার দাবি করেছে চাঁদের পিঠেই আছড়ে পড়েছে বিক্রম। কিন্তু আর আশা রইল না। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অন্ধকার নামার সঙ্গে অন্ধকারে ডুবে যাবে বিক্রমও।
কারণ অনুসন্ধানে ইসরো
কেন অসফল হল চন্দ্রযান-২। তার কারণ অনুসন্ধানে গত বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসেছিলেন ইসরোর উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা। কিন্তু সেই বৈঠকে কী কারণ তাঁরা অনুসন্ধান করেছেন সেকথা জানানি। নাসা যে ছবি পাঠিয়েছিল তাতে চাঁদের পিঠে অবতরণের চেষ্টা করেছে বিক্রম তার প্রমাণ মিলেছে।
চন্দ্রযান-২য়ের অসফল অভিযানের কথা ভুলে নতুন করে মহাকাশে পাড়ি দেওয়ার প্রস্তুতি শুরু করেছে ইসরো। এবার ইসরোর টার্গেট গগনযান।