বিটকয়েনের কারবারীদের মাথায় হাত, ভারতে ক্রিপ্টোকারেন্সির বিনিময়ে মিলবে না এক পয়সাও
ক্রিপ্টোকারেন্সির লেনদেন বন্ধ করার জন্য ভারতীয় ব্যাঙ্কগুলিকে দেওয়া ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের সময়সীমা বৃহস্পতিবার শেষ হবে।
বৃহস্পতিবার থেকে ভারতে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বিটকয়েনের লেনদেন। আরবিআই ভারতীয় ব্যাঙ্কগুলিকে ক্রিপ্টোকারেন্সির লেনদেন বন্ধে যে ডেডলাইন বা চুড়ান্ত সময় দিয়েছিল তা শেষ হচ্ছে এদিন। ফলে বিটকয়েনের কারবারিদের মাথায় হাত পড়তে চলেছে। বৃহস্পতিবারের পর থেকে ভারতীয় ব্যাঙ্কে বিটকয়েন ভাঙানো বা তার বিনিময়ে লোন লাভ ইত্যাদি আর সম্ভব হবে না।
বিটকয়েন বা অন্য়ান্য ক্রিপ্টোকারেন্সির কোনও নির্দিষ্ট দাম নেই। মাঝে মাঝেই এর মূল্য অনেক উপরে উঠে যায়। কাজেই এক ঝটকায় প্রচুর লাভ করার লোভে এতদিন অনেকেই বিটকয়েন বা অন্যান্য ক্রিপ্টোকারেন্সি কেনা বেচা করতেন। কিন্তু এদিনের পর থেকে ভারতীয় ব্যাঙ্কগুলিতে ক্রিপ্টোকারেন্সির আর কোনও মূল্য রইল না।
এতদিন ফরেন এক্সচেঞ্জ বা বিদেশী মুদ্রা বিনিময় কেন্দ্রগুলিতে বিটকয়েন কেনা ও বেচা দুইই যেত। এক্সচেঞ্জের সঙ্গে যুক্ত কোনও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা জমা করেই তার মিনিময়ে বিটকয়েন কিনতে পারতেন উপভোক্তারা। কিন্তু বৃহস্পতিবারের পর থেকে অধিকাংশ এক্সচেঞ্জগুলিই পিয়ার টু পিয়র-এ পরিণত হচ্ছে। অর্থাত, এখন থেকে একপ্রকার ক্রিপ্টোকারেন্সির বিনিময়ে অন্যপ্রকার ক্রিপ্টোকারেন্সিই মিলবে, অর্থ মিলবে না। কেনার ক্ষেত্রেও ক্রিপ্টোকারেন্সি দিয়েই ক্রিপ্টোকারেন্সি কেনা যাবে।
অবশ্য ক্রিপ্টোকারেন্সির লেনদেনকারীদের সামনে ওএলএক্স-এর মতো মার্কেটপ্লেস এক্সচেঞ্জ থাকছে। আর থাকছে কালোবাজারের খোলা ময়দান। ক্রিপ্টোকারেন্সি সংস্থাগুলির এখন থেকে ব্যাঙ্ক লোন নেওয়ার যোগ্যতাও থাকল না। কর্পোরেট অ্যাকাউন্টও খুলতে দেওয়া হবে না।
তবে সবচেয়ে মুশকিলে পড়বেন যারা নতুন করে বিটকয়েন কিনতে যাবেন। কারণ এক্ষেত্রে তাদের প্রথমে বর্তমান এক্সচেঞ্জ হারে প্রিমিয়াম দিতে হবে। ১ টি বিটকয়েনের জন্য পড়বে ৪ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা। পাশাপাশি মুশকিলে পড়বেন বিটকয়েন সংস্থাদের ওয়ালেটে যারা লগ্নি করেছিলেন তারা। সাধারণ অনলাইন ওয়ালেটের মতোই বিটকয়েন সংস্থারও এধরণের ওয়ালেট রয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ১২টার মধ্যে সেই টাকা লগ্নিকারী তুলে না নিলে, তা কিন্তু আর তোলা যাবে না।