কে-রেল নিয়ে ইউডিএফ সাংসদদের বিক্ষোভ ঘিরে দিনভর নাটক সংসদে
কে-রেল নিয়ে ইউডিএফ সাংসদদের বিক্ষোভ ঘিরে দিনভর নাটক সংসদে
বৃহস্পতিবার চরম নাটকের সাক্ষী থাকল লোকসভা। কেরলের সাংসদদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লেন দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তারক্ষীরা। কিন্তু কেন এই সংঘর্ষ? জানা গিয়েছে, কেরল সরকারের প্রস্তাবিত সিলভারলাইন সেমি হাইস্পিড রেল করিডোরের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউডিএফ) সাংসদরা। সেই সময়েই অবস্থা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।
ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট তথা ইউডিএফ কেরলের অন্যতম বিরোধী জোট। এই জোটের নেতৃত্বে রয়েছে কংগ্রেস। তাঁদের অভিযোগ, এদিন বিজয় চক থেকে তাদের প্রতিবাদ মিছিল বের হলে বাধা দেন দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তারক্ষীরা। সেখানেই ধ্বস্তাধস্তি হয়৷ ঘটনা উঠে আসে সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরাতেও। দেখা যায়, প্ল্যাকার্ড হাতে প্রতিবাদ মিছিলে হাঁটছিলেন সাংসদরা। সেখানেই তাঁদের পথ আটকান নিরাপত্তারক্ষীরা৷ বারংবার সাংসদরা নিজেদের পরিচয় বললেও পিছু হঠেননি রক্ষীরা৷ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক এবং রাজ্যসভার সাংসদ কে সি ভেনুগোপাল সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, নিরাপত্তা কর্মীদের এই আচরণ ভারতীয় সংসদের ইতিহাসে নজিরবিহীন। আমরা সংসদে ইস্যুটি উত্থাপন করব এবং একটি বিশেষাধিকার প্রস্তাব উত্থাপন করব।
ধনখড়কে সরানোর প্রয়োজন রয়েছে! রামপুরহাট-কাণ্ডের পর শাহকে বোঝাতে গেল তৃণমূল
অন্যদিকে কংগ্রেসের মহিলা সাংসদ রম্যা হরিদাস অভিযোগ করেছেন যে তাঁকে পুরুষ পুলিশ কর্মীদের দ্বারা হেনস্থা করা হয়েছে। লোকসভায় এই বিষয়টি উত্থাপন করে কংগ্রেস সাংসদ কোডিককুন্নিল সুরেশ বলেছেন যে মহিলা সংসদ সদস্য সহ মোট ১২ জন সাংসদ বৃহস্পতিবার সকাল ১০.৪৫ এ বিজয় চক থেকে প্রতিবাদ মিছিল করে সংসদ ভবনের দিকে আসছিলেন তখন দিল্লি পুলিশ কর্মীরা এসে কোনও প্ররোচনা ছাড়াই তাদের বাধা দেয়। সুরেশ লোকসভায় বলেন,আমরা তাদের বারবার বলেছি আমরা সাংসদ। তারা (পুলিশ) বলেছে আপনারা (বিক্ষোভকারী সাংসদরা) স্লোগান দিচ্ছেন। আমরা বলেছি স্লোগান দেওয়া আমাদের অধিকার। তারা আমাদের হেনস্থা করেছে, কোনো উসকানি ছাড়াই আমাদের ধাক্কা দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, এর ঠিক একদিন আগে রাজ্যসভায় সিপিএম এবং বিজেপি সাংসদের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়ছিল এই কে-রেল ইস্যু নিয়েই৷ দু'দলই একে অপরকে কেরালায় ৫২৯.৪৫ কিলোমিটার সেমি-হাইস্পিড কে-রেল সিলভারলাইন প্রকল্প নিয়ে রাজনীতি করার অভিযোগ করেছে। কেরলের সিপিএম সরকার সিলভারলাইন কে-রেল প্রকল্পটি করিডোরের সীমানা সমীক্ষা এবং চিহ্নিতকরণ করতে গিয়ে ব্যাপক বিরোধিতার সম্মুখীন হয়েছে এবং রাজনৈতিক বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে মোদীর সঙ্গে সরাসরি বৈঠকেও বসেছেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন।