শ্বশুরবাড়ির সম্পত্তিতে অধিকার রয়েছে পুত্রবধূর, ঐতিহাসিক রায় সুপ্রিম কোর্টের
শ্বশুরবাড়ির সম্পত্তিতে অধিকার রয়েছে পুত্রবধূর, ঐতিহাসিক রায় সুপ্রিম কোর্টের
গার্হস্থ্য হিংসা মামলায় ঐতিহাসিক রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, গার্হস্থ্য হিংসার কারণে কোনও মহিলাকে শ্বশুরবাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার পরও তাঁর বাড়ির সম্পত্তির ওপর অধিকার রয়েছে, এমনকী বাড়িটির মালিক তাঁর শ্বশুর–শাশুড়ি হওয়া সত্ত্বেও। এই রায় বহু মহিলা, যাঁরা গার্হস্থ্য হিংসার শিকার তাঁদের স্বস্তি দিল। বৃহস্পতিবার তিন বিচারপতির বেঞ্চ এই রায় শোনালেন।
তিন বিচারপতির বেঞ্চ এদিন জানিয়েছেন যে গার্হস্থ্য হিংসা আইন ২০০৫ মহিলাদের সুরক্ষার অধীনে 'সম্পত্তির অধিকার’, যৌথ পরিবার বা স্বামীর কোনও আত্মীয়ের মালিকানাধীন একটি বাড়িও হতে পারে, তবে শর্ত থাকবে এই যে ওই মহিলাকে দীর্ঘকালীনভাবে তাঁর বিয়ের পরে সেই বাড়িতে বাস করতে হবে পারিবারিক সম্পর্ক ও বাসিন্দা হিসাবে। বিচারপতি অশোক ভূষণ, আর সুভাষ রেড্ডি ও এমআর শাহের বেঞ্চ এ প্রসঙ্গে বলেন, 'সম্পত্তির অংশ স্বামীর কোনও আত্মীয়েরও যদি হয়, যার সঙ্গে মহিলার গার্হস্থ্য সম্পর্ক রয়েছে এবং দীর্ঘদিন সেই বাড়িতে রয়েছেন, তবে গার্হস্থ্য হিংসা আইনের ২ নম্বর ধারা অনুযায়ী, যৌথ পরিবারের সম্পত্তির ভাগের অর্থ হল, এক্ষেত্রে শ্বশুরবাড়ির যৌথ সম্পত্তি এবং শ্বশুরবাড়ির পৈত্রিক ভিটে বা সম্পত্তির ভাগও পাবে।’
সুপ্রিম কোর্টের এই রায় বহু মহিলাকে স্বস্তি এনে দিয়েছে, যাঁরা গার্হস্থ্য হিংসার জন্য শ্বশুর বাড়ি ছেড়েছিলেন বা বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল এবং শ্বশুর বা শাশুড়ির মালিকানাধীন বাড়ির ভাগ পেতে সমস্যা দেখা দিয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ তাঁদের ১৫০ পাতার রায়ে লক্ষ্য করেছেন যে দেশে ক্রমাগত বেড়ে চলেছে গার্হস্থ্য হিংসা এবং বহু মহিলারাই রোজ কোনও না কোনও হিংসার সম্মুখীন হন এবং নিষ্ঠুর আচরণের রূপ প্রতিফলিত হয় সমাজের।
বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালতের বিচারপতি অশোক ভূষণের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ 'তরুণ বত্রা মামলা’য় দুই সদস্যের বেঞ্চের রায় প্রত্যাহার করে নতুন রায় ঘোষণা করে। প্রসঙ্গত, এর আগে তরুণ বত্রা মামলায় দুই বিচারপতির বেঞ্চ বলেছিল, 'আইনত পুত্রবধূ তাঁর স্বামীর মালিকানাধীন সম্পত্তিতে থাকতে পারেন না।’ সুপ্রিম কোর্টের তিন সদস্যের বেঞ্চ সেই সিদ্ধান্তকেই প্রত্যাখ্যান করল। তরুণ বত্রা মামলার শুনানিতে বিচারপতি অশোক ভূষণের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ বলে, শুধুমাত্র স্বামীর পৃথক সম্পত্তিতেই নয়, স্বামীর পিতামাতার সম্পত্তিতেও তাঁর অধিকার রয়েছে।
সিঁদুরে মেঘ ঘনাচ্ছে ভূস্বর্গে, কাশ্মীরের অধিকার ফেরত চাই, জোট বাঁধছে আবদুল্লা-মুফতিরা