'অপারেশন কমল'-এ অনুপ্রাণিত কংগ্রেস, এবার নিজেদের 'ওষুধ'-এর স্বাদ পেতে পারে বিজেপি!
সাত ঘণ্টার ম্যারাথন বৈঠকেও কাটেনি জট। কেন্দ্রের সঙ্গে বৈঠকে বিতর্কিত তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতেই অনড় রইল কৃষক প্রতিনিধিদল। অন্যদিকে একাধিক আশ্বাস দেওয়া হলেও আইন প্রত্যাহারে অনিচ্ছুক মোদী সরকার। এই পরিস্থিতিতে শনিবার ফের বৈঠকে বসবে দুই পক্ষ। তবে পরের এই বৈঠক হবে কি না তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। বৈঠক শেষে তেমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন কৃষক প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব।
জোট ত্যাগ করেছে বিজেপির পুরোনো সঙ্গীরা
এই পরিস্থিতির মধ্যেই কৃষি আইনের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে ইতিমধ্যেই জোট ত্যাগ করেছে বিজেপির পুরোনো জোট সঙ্গী পাঞ্জাবের অকালি দল। রাজস্থানের লোকতান্ত্রিক জনতা দলও নয়া কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে জোট ছাড়ার হুমকি দিয়েছে। এবার হরিয়ানায় বিজেপির জোটসঙ্গী জেজেপিও একই পথে হাঁটতে চলেছে, বলে বাড়ছে জল্পনা।
রাজনৈতিক সমীকরণ নিয়ে ছক কষাকষি
এই সবকিছুর মাঝেই এবার শুরু হয়েছে রাজনৈতিক সমীকরণ নিয়ে ছক কষার পালা। এবং এই আবহে চাপে থাকা বিজেপিকে আরও চাপে ফেলতে ছক কষতে শুরু করে দিয়েছে কংগ্রেস। তবে এই চাপ বৃদ্ধি আন্দোলনের ক্ষেত্রে নয়, বরং এই চার তৈরির সমীকরণ রাজনৈতিক ক্ষেত্রে।
অপারেশন কমল-এ অনুপ্রাণিত কংগ্রেস?
এতদিন বিজেপি যেই 'অপারেশন কমল'-এর জোরে একের পর এক রাজ্যে কংগ্রেসকে হটিয়ে নিজেদের ক্ষমতা বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে, এবার সেই পথেই হাঁটতে পারে কংগ্রেস। জানা সূত্রের খবর, হরিয়ানাতে বিজেপি-জেজেপি জোটে ফাটল দেখা দিয়েছে। আর সেই প্রেক্ষিতে সুযোগের সন্ধানে ওত পেতে রয়েছে কংগ্রেস।
কৃষকদের ৩৯ দফা দাবি
বৃহস্পতিবার কেন্দ্রের সঙ্গে বৈঠকে নিজেদের ৩৯ দফা দাবি তুলে ধরে কৃষক প্রতিনিধিদল। একাধিক বিষয়ে কৃষকদের উদ্বেগের কথা জানায়। কৃষকরা মনে করেন, কৃষি বাজার ও চুক্তিভিত্তিক চাষ সংক্রান্ত আইন বড় বেসরকারি সংস্থাগুলিকে সক্রিয় করে তুলবে। বেসরকারি কৃষি বাজার তৈরি ও ফসল ক্রয়ের উপর নিয়ন্ত্রণ নিয়েও চিন্তিত তাঁরা। বৈঠকে উৎপাদিত ফসলের পরিবহন ও হিমঘরের উপর নিয়ন্ত্রণসহ বিভিন্ন বিষয় উঠে আসে। নতুন আইনে বড় ব্যবসায়ীদের সামনে পড়ে নিজেদের স্বার্থ বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন চাষিরা। অন্যদিকে কেন্দ্রের তরফে কৃষি আইনের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরা হয়।
এমএসপি নিয়ে বেসুরো গাইতে শুরু করেছে জেজেপি
এই পরিস্থিতিতে এমএসপি নিয়ে বেসুরো গাইতে শুরু করেছে হরিয়ানায় বিজেপির শরিক জেজেপি। এই প্রেক্ষিতে কংগ্রেস আশা করছে যে আপনা আপনি বিজেপির সরকারের পতন হবে। বর্তমানে ৯০ আসন বিশিষ্ট হরিয়ানা বিধানসভায় বিজেপির দখলে রয়েছে ৪০টি আসন, জেজেপির ঝুলিতে আছে ১০।
কোন সমীকরণে কংগ্রেস ক্ষমতা দখল করতে পারে?
কংগ্রেসের সঙ্গে রয়েছেন ৩১ জন বিধায়ক। এছাড়া অন্যান্য নির্দল ছোটো দল মিলিয়ে ৯ জন বিধায়ক রয়েছেন। তো অঙ্কের নিরিখে বিজেপি বাদে সবাইকে সঙ্গে নিতে পারলে কংগ্রেস সরকার গঠন করতে সক্ষম হতে পারে। সেই ক্ষেত্রে ম্যাজিক ফিগার পার করতে কংগ্রেসের জেজেপির সঙ্গে জোট বাঁধার পর আরও ৫ জন বিধায়কের প্রয়োজন পড়বে।
মিমের ঘুড়ি কেটেও গোলাপি ঝড়ে ম্লান গেরুয়া, হায়দরাবাদে তবুও 'নৈতিক' জয় বিজেপির