জেডিইউ, বিজেডির ভোট সংসদে নাগরিকত্ব বিল পাশে কীভাবে সাহায্য করল
জেডিইউ, বিজেডির ভোট সংসদে নাগরিকত্ব বিল পাশে কীভাবে সাহায্য করল
রাজ্যসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল বা সিএবি রাজ্যসভায় উপস্থাপনের আগেই সবার কাছে এটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল এটি পাশের পথে খুব একটা বেগ পেতে হবে না বিজেপিকে। বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের কাছে এটি রাজ্যসভায় পাস করার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যাধিক্য ছিল।
একসাথে সোমবার লোকসভায় বিলটি পাশের ক্ষেত্রেও এনডিএ জোটের বাইরে থাকা একাধিক রাজনৈতিক দলকে এই বিলটিকে সমর্থন করতে দেখা যায়। তারপরই একপ্রকার সকলে নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল বুধবারই রাজ্যসভায় পাশ হতে চলেছে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল।
বিলটি পাশের সময় রাজ্যসভায় বিজেপিকে সমর্থন করে বিজু জনতা দল (বিজেডি), ওয়াইএসআর কংগ্রেস পার্টি (ওয়াইএসআরসিপি) এবং তেলেগু দিশম পার্টি (টিডিপি) -র মতো একাধিক এনডিএ বহির্ভূত রাজনৈতিক দল। সামগ্রিকভাবে, বিলটির পক্ষে ভোট পরে ১২৫টি এবং বিপক্ষে পরে ১০৫টি। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে বিলটি সামগ্রিক ভাবে বিজেপির পক্ষে যাওয়ায় সবথেকে বড় অনুঘটকের ভূমিকা পালন করতে দেখা যায় জেডিইউ এবং বিজেডিকে।
রাজ্য সভায় উভয় দলের একত্রে ১১ জন সদস্য রয়েছে। যদিও দুটি দলই লোকসভাতেও সিএবির পক্ষে ভোট দেয়। যদিও কিছুদিন আগেই জেডিইউ প্রধান নীতিশ কুমারকে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিপক্ষে কথা বলতে দেখা যায়। তারপরই এই নিয়ে শুরু হয় জোর জল্পনা।
বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে মুসলিম ছাড়া অন্যান্য ধর্মের যে সমস্ত মানুষেরা ভারতে এসেছিলেন তাদের নাগরিকত্ব প্রদানের উদ্দেশ্যেই মূলত এই বিলটি পাস নিয়ে আসা হয়েছে বলে সরকারি ভাবে জানানো হয়েছে। এদিতে সোমবার লোকসভায় বিলটির পক্ষে ৩১১টি এবং বিপক্ষে ৮০টি ভোট পড়ে। হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন, খ্রিস্টান এবং পার্সী শরণার্থীরা,যারা পাকিস্তান, বাংলাদেশ বা আফগানিস্তানে ধর্মের ভিত্তিতে যারা বৈষম্যের শিকার তাদের ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রদানের সুবিধার্থে এই বিলের বিশেষ প্রয়োজন রয়েছে বলে এর আগে মন্তব্য করতে দেখা যায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে।