ভোট প্রক্রিয়ায় কালো টাকার ব্যবহার নিয়ে আবারও উদ্বেগ প্রকাশ মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের
ভোট প্রক্রিয়ায় কালো টাকার ব্যবহার নিয়ে আবারও উদ্বেগ প্রকাশ মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের
নির্বাচনী
বন্ড
প্রকল্পের
বিষয়ে
নতুন
তথ্য
প্রকাশের
মধ্যেই
এবার
নতুন
মোচড়।
সূত্রের
খবর
লোকসভা
নির্বাচনের
ঠিক
একমাসের
পরে
জুলাইয়েই
মোদী
সরকারের
কাছে
এই
বিষয়ে
উদ্বেগ
প্রকাশ
করতে
দেখা
গেছে
নির্বাচন
কমিশনকে।
বিবেচনাধীন বন্ড-সংক্রান্ত বিভিন্ন সংস্কার পুনর্বিবেচনা করার কথা বলে আইন মন্ত্রীর কাছে চিঠি দেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা। ২৭শে জুলাই আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদের কাছে লিখিত এক চিঠিতে নির্বাচন কমিশন ওই বন্ড গুলির ব্যাপারে বেশ কিছু সন্দেহ প্রকাশ করেন।
নির্বাচন কমিশনের সুপারিশকৃত বিভিন্ন নির্বাচনী সংস্কারের বিষয়েই লেখা হয় ওই চিঠিতে। চিঠির সাথে এখন পর্যন্ত মুলতুবি থাকা বা অমীমাংসিত থাকা বিভিন্ন সংস্কারের ব্যাপারেও বিশদ যুক্তি দিয়ে প্রয়োজনীয় নথিপত্র চিঠির সঙ্গে পাঠিয়ে দেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার।
এই সংস্কারগুলির মধ্যে অন্যতম কোম্পানি আইন, ২০১৩। এই আইনটিকেও নতুন করে উপস্থাপনের প্রস্তাব দেওয়া হয় নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে। যেখানে বলা হয় কোনও নির্দিষ্ট সংস্থা কোনও রাজনৈতিক দলকে অনুদান হিসাবে তাদের তিন বছরের নিট মুনাফার গড়ের সর্বাধিক ৭.৫ শতাংশ দিতে পারবে। সূত্রের খবর ২০১৭ সালে নির্বাচনী বন্ড প্রকল্প চালু হওয়ার পরে সরকার এই বিধি নিষেধকে খানিকটা এড়িয়েই গিয়েছিল। যার ফলে দীর্ঘদিন থেকেই ভোটের বাজারে ভুঁইভর একাধিক সংস্থা গজিয়ে উঠে কালো টাকার লেনদেনকে আরও ত্বরান্বিত করেছে বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।
অন্যদিকে এই প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনের স্পষ্ট বক্তব্য, “কমিশন আশঙ্কা প্রকাশ করেছে যে সংস্থা বা কোম্পানি আইনের ১৮২ ধারা কার্যকরী না হলে আগামীতে ভুয়ো সংস্থাগুলির মাধ্যমে রাজনৈতিক স্বার্থে জন্য কালো টাকার ব্যবহার বহুগুন বেড়ে যাবে।”