হাল ছাড়তে নারাজ ইসরো, ফের যোগাযোগ হতে পারে ল্যান্ডারের সঙ্গে
ক্ষীণ হলেও আশা আছে। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণের চেষ্টা এই প্রথম কোনও দেশ করেছে।
ক্ষীণ হলেও আশা আছে। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণের চেষ্টা এই প্রথম কোনও দেশ করেছে। কাজেই সেখানকার আবহাওয়া কেমন হবে তা বিজ্ঞানীদের কাছে একেবারেই অজানা। সেই প্রতিকূল আবহাওয়া সিগনাল দেওয়া বন্ধ হয়ে গেলেও আর যে সেই সিগনাল ফিরে আসবে না সেকথা জোর দিয়ে বলতে নারাজ বিজ্ঞানীরা।
সিগনাল হারিেয় যাওয়ার আগে পর্যন্ত সুস্থ ছিল ল্যান্ডার
চাঁদের থেকে দূরত্ব যখন ঠিক ২.১ কিমি ঠিক তখনই ল্যান্ডরের সঙ্গে সব যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। কিন্তু তার আগে পর্যন্ত লয়ান্ডারের স্বাস্থ্য একেবারেই ঠিক ছিল। কোনওরকম ত্রুটি ধরা পড়েনি। ইসরোর ডেটা অ্যানালেসিস টিমের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে কোনও রকম গলদ ছিল না ল্যান্ডের। একেবারে সমীকরণ মেনেই এগোচ্ছিল সে।
আশা ছাড়ছেন না বিজ্ঞানীরা
এই প্রথম কোনও দেশ চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবহতরণ করছে। সেকারণে সেখানকার আবহাওয়া সম্পর্কে বিজ্ঞানীরা তেমনভাবে ওয়াকিবহাল নন। এমনও হতে পারে সাময়িক ভাবে ল্যান্ডার সিগনাল দেওয়া বন্ধ করেছে। বা কোনও কারণ বশত ইসরোর কাছে সেই সিগনাল এসে পৌঁছচ্ছে না। কিন্তু তার অর্থ এটা নয় যে ল্যান্ডার একেবারে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে বা হারিয়ে গিয়েছে। এটা কিছুতেই এখনই মানতে চাইছেন না বিজ্ঞানীরা।
সম্পূর্ণ সুস্থ ছিল ল্যান্ডার
যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার আগে পর্যন্ত সম্পূর্ণ সুস্থ ছিল ল্যান্ডার। তাতে কোনও গলদ দেখা যায়নি। ইসরোর প্রধান কে শিবন জানিয়েছেন, শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ল্যান্ডারের স্বাস্থ একেবারেই ভাল ছিল। সমীকরণেও কোনও ত্রুটি ধরা পড়েনি। তাজেই একেবারে হারিয়ে গিয়েছে ল্যান্ডার এই নিয়ে এখনই কোনও সিদ্ধান্তে আসতে চাইছে না তাঁরা। দিনরাত এক করে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। যদি কোনও সিগনাল পাওয়া যায়। আজ না হোক দু'দিন পরে হল সিগনাল ফিরতে পারে এই আশাতেই রয়েছেন তাঁরা।
২২ জুলাই চাঁদের পথে পাড়ি দেওয়ার পর থেকে একের পর এক কঠিন বাঁধা পেরিয়ে সম্পূর্ণ সঠিক পথেই চলছিল চন্দ্রযান-২। সমীকরণের কোনও গলদ ছিল না। সমীকরণ মেনেই এগিয়ে গিয়েছিল চাঁদের একেবারে কাছে। কিন্তু শেষটাই একটু জট পাকিেয় গেল। ল্যান্ডারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার ঘটনায় ভেঙে পড়েছেন ইসরোর প্রধান কে শিবন। যদিও দেশ তাঁর পাশে আছে বলে আশ্বস্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী।