দুর্নীতির দায়ে ৩১২ সরকারি আধিকারিককে বরখাস্ত! সংসদে চাঞ্চল্যকর তথ্য
দুর্নীতির দায়ে ৩১২ সরকারি আধিকারিককে বরখাস্ত ! সংসদে চাঞ্চল্যকর তথ্য়
দুর্নীতি দমনে মোদী সরকার কোনও রকম আপোষ করবে না তা প্রথম থেকেই দাবি করে এসেছে। এই দুর্নীতি দমনের লক্ষ্যেই নোট বাতিের মতো ঐতিহাসিক কাণ্ড ঘটিয়েেছ সরকার। এমনকী কর পরিকাঠামোর স্বচ্ছতা আনতে পণ্য পরিষেবা কর, আধার নম্বর সহ একাধিক পরিবর্তন এনেছেন তিনি। নিজের দফতরেও যে তিিন দুর্নীতি নিয়ে ভীষণ ভাবে সচেতন তা জাহির করতেই সংসদে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং দাবি করেছেন, প্রায় ৩১২ জন সরকারি আধিকারিককে দুর্নীতির অপরাধে বরখাস্তা করা হয়েছে।
এবং দুর্নীতি রুখতে প্রায় ১.২ লাখ এ এবং বি স্তরের সরকারী আধিকারিকদের উপর নজরদারি চালানো হয়েছে। কয়েকদিন আগেই ঘুষ নেওয়া এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করার অভিযোগে বরখাস্ত করা হয়েছিল আয়কর দফতরের কমিশনারকে। সরকারি আধিকারিকদের কাজের মানের উপরেও নজরদারি চালানো হচ্ছে। কে কীরকম কাজ করছে সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এবং বছরে দফায় দফায় এই নজরদারি চালানো হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর দফতরের প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং।
প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ডি রাজা কয়েকদিন আগে প্রশ্ন তুলেছিলেন, জোর করে সরকারি আধিকারিকদের অবসর দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তার জন্য কোনও উপযুক্ত কারণ দেখাতে পারছে না সরকার। কেন এই কাজ করা হচ্ছে তা জানতে চেয়েছিলেন ডি রাজা সেই প্রশ্নের প্রেক্ষিতেই কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী এই পরিসংখ্যান সংসদে তুলে ধরেন। সেই প্রশ্নের উত্তর জিতে গিয়েই জিতেন্দ্র সিং জানিয়েছেন, দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত করার অধিকার সরকারের আছে। এদিন সংসদে তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন দুর্নীতি দমনে কোনও রেয়াত করেন না মোদী সরকার। ২০১৪ সাল থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে মোট ৩৬,৭৫৬ জন সরকরি আধিকারিক এবং ৮২,৬৫৪ জন গ্রুপ বি-র সরকারি আধিকারিকের উপর বাড়তি নজরদারি চালানো হয়েছে। শুধু দুর্নীতি নয়, কাজে অনিহা, ফাঁকি দেওয়া, মহিলা সহকর্মী বা অধঃস্তন কর্মীর সঙ্গে যৌন হেনস্থার অভিযোগেও একাধিক সরকারি আধিকারিকের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।