৩০০০ কোটিতে ওএনজিসি-র মালিকানা বিক্রি করবে কেন্দ্র সরকার
৩০০০ কোটিতে ওএনজিসি-র মালিকানা বিক্রি করবে কেন্দ্র সরকার
মঙ্গলবার বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জে তিন শতাংশ পড়ে ১৭১.০৫ এ শেষ করেছে ওএনজিসি৷ ভারতের সর্ববৃহত জ্বালানি তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের নিয়ন্ত্রক এই কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থাটির ১.৫ শতাংশ শেয়ার বাজারে বিক্রি করতে চলেছে মোদী সরকার৷ জানা গিয়েছে চলতি সপ্তাহেই ৩০০০ কোটি টাকা তোলার জন্য ওএনজিসির ১.৫ শতাংশ পর্যন্ত শেয়ার বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা রেখেছে কেন্দ্র। মঙ্গলবারই স্টক এক্সচেঞ্জ ফাইলিংয়ে তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস কর্পোরেশন (ওএনজিসি) জানিয়েছে, সরকার তরফ থেকে শেয়ার বিক্রয়ের এই অফার (ওএফএস) ৩০ ও ৩১ মার্চ খোলা থাকবে।
খুচরো বিনিয়োগকারীদের কত শেয়ার বিক্রি করবে সরকার?
সংবাদমাধ্যমের খবর কেন্দ্র সরকার মার্চের ৩০ তারিখ-এ ওএনজিসির ৯৪৩৫২০৯৪ ইক্যুইটি শেয়ার বিক্রি করার প্রস্তাব নিয়ে এসেছে। (যা সংস্থাটির মোট পরিশোধিত ইক্যুইটি শেয়ার মূলধনের ০.৭৫ শতাংশ।) ৩০ তারিখ মূলত অ-খুচরো বিনিয়োগকারীদের কাছে এবং তার পরের দিন অর্থাৎ মার্চের ৩১ তারিখে খুচরো বিনিয়োগকারীদের কাছে অতিরিক্ত ৯৪৩২৫০৯৪ ইক্যুইটি শেয়ার বিক্রি করার ভাবনা রেখেছে সরকার।
তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের কোম্পানিটির ৬০.৪১ শতাংশ রয়েছে কেন্দ্রের কাছে
ওএফএস-এর ফ্লোর প্রাইসে শেয়ার প্রতি ১৫৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা গতকাল বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ (বিএসই)-তে ওএনজিসির ১৭১.০৫ টাকার স্টক ক্লোজিং প্রাইস থেকে ৭ শতাংশ কম। নিয়ম অনুযায়ী ওএফএস-এ সবচেয়ে কম ২৫ শতাংশ শেয়ার মিউচুয়াল ফান্ড এবং বীমা কোম্পানিগুলির জন্য সংরক্ষিত থাকে। এর পাশপাশি ১০ শতাংশ খুচরো বিনিয়োগকারীদের জন্য রাখা হয়। এক্ষেত্রে খুচরো বিনিয়োগকারীদের একজন স্বতন্ত্র বিনিয়োগকারী হিসাবেই ধরা হয়, তবে এঁরা ২ লাখের বেশি শেয়ারের জন্য বিড করে না। অন্যদিকে ওএনজিসির কর্মচারীরা ৫ লক্ষ টাকা মূল্যের ইক্যুইটি শেয়ারের জন্যও আবেদন করতে পারেন। ফাইলিংয়ে আরও বলা হয়েছে, ওএফএস-এ বিক্রি হওয়া ইক্যুইটি শেয়ারের ০.০৭৫ শতাংশ কাট-অফ মূল্যে যোগ্য কর্মীদের দেওয়া হবে। প্রসঙ্গত দেশের সর্ববৃহৎ তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের কোম্পানিটির ৬০.৪১ শতাংশ কেন্দ্র সরকারের কাছে রয়েছে। এই ওএনজিসি সারা ভারতের মোট তেল ও গ্যাস উৎপাদনের ৫০ শতাংশ করে থাকে৷
অতিরিক্ত সাবস্ক্রিপশন নিজের কাছে রাখছে কেন্দ্র!
ওএনজিসির পক্ষ থেকে বিএসই-কে জানানো হয়েছে যে ওএফএস-এর 'বেস অফার'এর আকার হবে ৯৪.৩৫ মিলিয়ন। কেন্দ্র সরকার অতিরিক্ত সাবস্ক্রিপশন নিজের কাছে রেখে কোম্পানির ০.৭৫ শতাংশ শেয়ারের সমতুল্য ৯৪.৩৫ মিলিয়ন শেয়ার বিক্রির ভাবনা নিয়েছে। ভারতের কম্পট্রোলার এবং অডিটর জেনারেল, গত সপ্তাহে জানিয়েছেন যে দেশের পশ্চিম দিকে তৈলক্ষেত্রগুলিতে শেষ চার বছরে ১১২৭৬ কোটি টাকার ৩.৮ মিলিয়ন টন অপরিশোধিত তেল সংগ্রহ করতে পারেনি!
বাজেটে কী বলেছিলেন নির্মলা সীতারমন?
অন্যদিকে জানুয়ারি ২০২২ পর্যন্ত কেন্দ্র বিনিয়োগ এবং লভ্যাংশের মাধ্যমে প্রায় ৪৫৪৮৫.৮৭ কোটি টাকা উপার্জন করতে সক্ষম হয়েছে। একইসঙ্গে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে প্রাথমিকভাবে বিনিয়োগের লক্ষ্যমাত্রা১.৭৫ ট্রিলিয়ন ভারতীয় মুদ্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল৷ যদিও ২০২২ এর বাজেটে সেখান থেকে লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে ৭৮ হাজার কোটি টাকা করা হয়। গতবারের বাজেটে (২০২০-২১) কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন জানিয়েছিলেন রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সংস্থাগুলিতে বেসরকারীকরণ এবং অল্প পরিমানে শেয়ার বিক্রি থেকে ২.১ লক্ষ কোটি টাকা সংগ্রহের লক্ষ্য রেখেছে কেন্দ্র সরকার।
মোদীর বক্তব্যে নেই CAA! ক্ষোভ সামলে শান্তনু বললেন, কয়েক মাসের মধ্যেই 'ইপ্লিমেন্ট'