বিরোধীদল ও সংগঠনগুলির আপত্তি সত্ত্বেও শ্রম আইন প্রণয়নের লক্ষ্য স্থির কেন্দ্রের
সংসদে ধ্বনিভোটের মাধ্যমে পাশ হয় শ্রম সংস্কার সংক্রান্ত তিনটি বিল। ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিলেশনস কোড ২০২০, অকুপেশনাল সেফটি, হেলথ অ্যান্ড ওয়ার্কিং কন্ডিশনস কোড ২০২০ এবং কোড অন সোশ্যাল সিকিউরিটি ২০২০ বিল। এই তিনটি আইনই আগামী বছরের এপ্রিলের মধ্যে দেশের সর্বত্র প্রণয়ন করার লক্ষ্যে এগোচ্ছে কেন্দ্র। এমনটাই জানালেন কেন্দ্রী শ্রমমন্ত্রকের সচিব অপূর্ব চন্দ্র।

রাজ্যগুলিকেও দ্রুত প্রস্তুতি সারতে বলেছে কেন্দ্র
এই মর্মে রাজ্যগুলিকেও দ্রুত প্রস্তুতি সারতে বলেছে কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রক। এদিকে ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিলেশনস কোড সংক্রান্ত কাজ প্রায় আর্ধেক শেষ। তাছাড়া অন্যান্য আইনগুলির ক্ষেত্রেও কাজ এগোচ্ছে দ্রুত গতিতে। যদিও এই আইন নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে বিরোধীদল এবং শ্রমিক সংগঠনগুলি। তবে এই আইন নিয়ে বিরোধীদের দাবি মানতে নারাজ কেন্দ্র।

নতুন আইন কার্যকরী হলে শ্রম নীতিতে সংস্কার আসবে
কেন্দ্রের দাবি, নতুন আইন কার্যকরী হলে শ্রম নীতিতে সংস্কার আসবে। বিদেশী বিনিয়োগ বাড়বে। পরিযায়ী শ্রমিকরাও সুবিধা পাবেন। বিলগুলি রাজ্যসভায় পেশ করার সময় কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী সন্তোষ গাঙ্গোয়ার দাবি করেছিলেন, এই বিল পাশ হলে 'সুরক্ষিত পরিবেশে' কাজ করতে পারবেন শ্রমিকরা। সামাজিক সুরক্ষাও পাবেন।

কেন্দ্রের দাবি সহজেই মেনে নিচ্ছে না বিরোধীরা
তবে কেন্দ্রের এই দাবি সহজেই মেনে নিচ্ছে না বিরোধীদল এবং শ্রমিক সংগঠনগুলি। তাদের অভিযোগ, এই বিল প্রয়োগের ফলে খুব সহজেই কর্মী ছাঁটাই করতে পারবে সংস্থাগুলি। প্রতিবাদের অধিকারেও বিধি নিষেধ আরোপ করা হবে। কারণ, নতুন বিল অনুযায়ী, কোনও শিল্প-কর্মী ৬০ দিনের নোটিস ছাড়া ধর্মঘট করতে পারবেন না। ধর্মঘট করলে তাঁদের উপর জরিমানা, প্রয়োজনে আইনি ব্যবস্থাও নেওয়া হতে পারে।

কর্মী-ছাঁটাইয়ের ক্ষেত্রে নয়া আইন
বর্তমানে য়ে শ্রম আইন চালু আছে, তাতে যে কম্পানিগুলিতে ১০০ জনের কম কর্মী কাজ করেন, সেই কম্পানিগুলির কর্মী-ছাঁটাই বা ক্লোজারের ক্ষেত্রে সরকারের অনুমতির প্রয়োজন ছিল না। সেই নিয়মেই পরিবর্তন আনা হয়েছে নতুন বিলে। ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিলেশনস কোড বিল, ২০২০ অনুযায়ী, ১০০ জন নয়, ৩০০ জনের কম কর্মী থাকলেই, সেই সব সংস্থাকে কর্মী-ছাঁটাইয়ের ক্ষেত্রে আর সরকারের অনুমতি নিতে হবে না।

ধর্মঘটের ক্ষেত্রেও নয়া বিধিনিষেধ
ধর্মঘট করলে তাঁদের উপর জরিমানা, প্রয়োজনে আইনি ব্যবস্থাও নেওয়া হতে পারে। আগে শুধু জল, বিদ্যুৎ, গ্যাস, টেলিফোন এবং অন্যান্য জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের উপর শুধু এই নিয়ম আরোপিত ছিল। এদিকে অকুপেশনাল সেফটি, হেলথ অ্যান্ড ওয়ার্কিং কন্ডিশনস কোড বিলে কারখানা, খনির শ্রমিকরা সাহায্য পাবেন। কিন্তু প্রয়োজন আরও বেশি বলে দাবি শ্রমিক সংগঠনগুলির।
কেরলের সোনা পাচার মামলায় দাউদ যোগ, আরও অস্বস্তিতে বিজয়নের বাম সরকার