দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও আঁটোসাঁটো করতে কড়া পদক্ষেপ কেন্দ্র সরকারের
দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও আঁটোসাঁটো করতে কড়া পদক্ষেপ কেন্দ্র সরকারের
ক্রমবর্ধমান অপরাধের হার কমাতে এবার কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে ভারত সরকার। অপরাধীকে খুব সহজেই খুঁজে পেতে 'ফেসিয়াল রিকগনিশনের' মতো প্রযুক্তির ব্যবহার চালু হতে চলেছে সারা দেশ জুড়ে।
ইতিমধ্যেই গত বছর থেকেই অন্ধ্রপ্রদেশ এবং পাঞ্জাবে এই প্রযুক্তির পরীক্ষামূলক ব্যবহারও চালু হয়েছে। দেশের প্রায় সব রাজ্যের পুলিশের কাছেই এরপর থেকে একটি কেন্দ্রীভূত ব্যবস্থার মাধ্যমে অপরাধীদের তথ্য জমা করা যাবে।
এই প্রযুক্তির সাহায্যে 'ক্রিমিনাল রেকর্ডে’ থাকা অপরাধীর ছবির সাথে সেই অপরাধীর অপরাধের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তাকে সহজেই সনাক্ত করা যাবে বলে জানা যাচ্ছে। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো-র ১৭২ পাতার একটি নথিতে এই বিষয়ে বিশদে বর্ণনা করা হয়েছে। এই বিবৃতিতে বলা হয় এরপর থেকে মহিলা ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রকের মতো একাধিক সংস্থাগুলির সংগৃহীত পাসপোর্টের ছবি, মগশট দেখে প্রাথমিক ভাবে একটি ডাটাবেস তৈরি হবে। যার মাধ্যমে সহজেই অপরাধীদের চিহ্নিতকরণ সম্ভব হবে বলেও জানা যায়। এই প্রযুক্তি ব্যবহার মাধ্যমে অপরাধীদের যেরকম সহজেই ধরা যাবে, পাশাপাশি অপরাধমূলক কাজকর্মেও অনেকটা রাশ টানা যাবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
সংবাদপত্রে বা ও বিভিন্ন জায়গায় ইতিমধ্যেই প্রকাশিত অপরাধীদের ছবিও সহজে আপলোড করা যাবে এই নয়া প্রযুক্তিতে। যার ফলে অপরাধীকে যখনই ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বা সিসিটিভিতে দেখা যাবে, তখনই এই প্রযুক্তির মাধ্যমে একটি সতর্কবার্তা যাবে পুলিশের কাছে। যার মাধ্যমে পুলিশ খুব সহজেই সেই অভিযুক্তকে পাকড়াও করতে পারবে।
অন্য একটি সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো ১১ই অক্টোবরের মধ্যে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থাকে এই প্রযুক্তি তৈরির ব্যাপারে প্রস্তাবিত মূল্য দেওয়ারও অনুরোধ করে। এই সংস্থারই দিল্লির অফিসে জুলাইয়ের শেষ দিকে নিলাম শুরুর আগে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার প্রায় ৮০জন প্রতিনিধিদের নিয়েও একটি একটি বৈঠকও হয়। যেখানে আইবিএম, এইচপি সহ এসিএন-র মতো একাধিক বিদেশি সংস্থা উপস্থিত ছিল বলে জানা যায়।
অন্যদিকে চিনেও বর্তমানে এই ধরণের প্রযুক্তি চালু রয়েছে। যার মাধ্যমে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা, পরিবহন নিয়ন্ত্রণ সহ অপরাধমূলক বিভিন্ন কাজকর্ম রোধের ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা হচ্ছে। যদিও একাধিক বিদেশি সংস্থা সরাসরি এই নতুন প্রযুক্তিতে যুক্ত থাকায় দেশের জাতীয় নিরাপত্তা কতটা সুরক্ষিত থাকবে সেই নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে একাধিক মহল থেকে।