তুরস্ক, মিশর থেকে ২১ হাজার টনের বেশি পেঁয়াজ আমদানি করবে কেন্দ্র
গৃহস্থের হেঁশেলে টান পড়েছে পেঁয়াজের। তার কারণ পেঁয়াজ এখন সবচেয়ে মূল্যবান সবজি। দেশের বেশিরভাগ শহরেই পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজি একশো টাকা ছুঁয়েছে। তাই গৃহস্থের রান্নাঘরে পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়াতে এবং তার অগ্নিমূল্য কম করতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বৃহস্পতিবার এক পর্যালোচনা মূলক বৈঠকের ডাক দেন। যেখানে উপস্থিত ছিলেন কমার্স মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল এবং কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার সহ অন্যান্য মন্ত্রীরা।
খাদ্য ও উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রী রাম বিলাস পাসওয়ান স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কারণে এই বৈঠকে যোগ দিতে পারেননি। এছাড়াও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রীসভার সচিব রাজীব গৌবা, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা পি কে সিনহা এবং উপভোক্তা বিষয়ক সচিব অবিনাশ শ্রীবাস্তব।
বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আগের বৈঠকে হওয়া সিদ্ধান্তের পর্যালোচনা করেন এবং যত দ্রুত সম্ভব পেঁয়াজ আমদানি করে তা ন্যায্য মূল্যে মানু্ষের কাছে পৌঁছে দিতে চায় সরকার। উপভোক্তা বিষয়ক সচিব যিনি পেঁয়াজের মূল্যের বর্তমান পরিস্তিতি নিয়ে রিপোর্ট তৈরি করেছেন, তিনি জানান, রাজ্য–সরকার পরিচালিত এমএমটিসি ইজিপ্ট এবং তুরস্ক থেকে ২১ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি করছে এবং তা মধ্য–জানুয়ারিতে এ দেশে এসে পৌঁছাবে বলে মনে করা হচ্ছে। সচিব জানান, আমদানি করা পেঁয়াজ যাতে তাড়াতাড়ি এ দেশে এসে পৌঁছায় তার জন্য টেন্ডার ও অনুবাসন নীতি সহজ করে দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, এমএমটিসি দু’টি দেশের মধ্যে সামঞ্জস্য বজায় রাখার জন্য ৫০০০ টনের পেঁয়াজের ওপর গ্লোবাল টেন্ডার বসানো হয়েছে। সচিব এও জানান যে পাইকারি ও খুচরো ব্যবসায়ীরা যথাক্রমে ৫ ও ২৫ টন পেঁযাজ মজুত রাখতে পারবেন। ইতিমধ্যেই পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে এবং মূল্য স্থিতিশীল হলেই ফের পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়ে যাবে।
বেশ কিছু সপ্তাহ যাবৎ পেঁয়াজের মূল্য ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে গিয়েছে। তার অন্যতম কারণ হল মহারাষ্ট্র সহ বেশ কিছু রাজ্যে অসময়ের বৃষ্টি। যার জন্য পেঁয়াজের ফলন নষ্ট হয়ে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার সংসদেও এই বিষয় নিয়েই বিতর্কের সৃষ্টি হয়। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন লোকসভায় জানান যে তিনি এমন একটি পরিবারে বাস করেন যেখানে পেঁয়াজ খুব অল্পই ব্যবহার হয়। এনসিপি নেতা সুপ্রিয়া সুলের প্রশ্নের জবাবে সীতারমন বলেন, 'আমি এত পেঁয়াজ, রসুন খাই না। আমি এমন একটি পরিবার থেকে এসেছি যেখানে পেঁয়াজ–রসুনের সঙ্গে এত সম্পর্ক নেই।’