লকডাউনে মজুরি প্রদান কর্মী ও নিয়োগকর্তার মধ্যেকার ব্যাপার, কেন্দ্র স্পষ্ট জানিয়ে দিল সু্প্রিম কোর্টকে
লকডাউনে মজুরি প্রদান কর্মী ও নিয়োগকর্তার মধ্যেকার ব্যাপার, কেন্দ্র স্পষ্ট জানিয়ে দিল সু্প্রিম কোর্টকে
লকডাউনের সময় শ্রমিকদের মজুরি প্রদানের বিষয়টি সম্পূর্ণ কর্মী ও নিয়োগকর্তার মধ্যেকার ব্যাপার এবং কেন্দ্র সেই বিষয়ে নাক গলাবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টকে। প্রসঙ্গত, লকডাউনের সময় সংস্থার মালিককে কর্মীদের পুরো বেতন দেওয়া বাধ্যতামূলক এ সংক্রান্ত নির্দেশ জারি করা হয়েছিল কেন্দ্রের পক্ষ থেকে। এই নির্দেশের একদিন পরই তার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছিল সংস্থাগুলি। সুপ্রিম কোর্ট এ বিষয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্রকে জবাব দিতে বলেছিল। সেই জবাবেই কেন্দ্র এই কথা জানিয়েছে।
কর্মী–নিয়োগকর্তার বোঝাপড়া
কেন্দ্র শীর্ষ আদালতকে জানিয়েছিল যে ওই নির্দেশে বলা ছিল যে শ্রমিকদের কর্মস্থান থেকে বাড়িতে যাওয়া বন্ধ করতেই সংস্থাকে পুরো বেতন দেওয়া কথা বলা হয়। কেন্দ্রের প্রতিনিধি হিসাবে সুপ্রিম কোর্টে অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপাল বলেন, ‘আমরা অর্থনীতিকে পুনরায় শুরু করতে চেয়েছিলাম এবং এটা কর্মীদের সঙ্গে নিয়োগকর্তার বোঝাপড়া যে কতটা মজুরি লকডাউনের সময় কর্মীদের দেওয়া যায়।'
শিল্প ও শ্রমিকের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা উচিত
এর আগে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল যে ২৯ মার্চের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল ছোট সংস্থাগুলিকে লকডাউনের সময় কর্মীদের ১০০ শতাংশ পুরো বেতন দিতে হবে। সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণে উঠে আসে, ‘ইন্ডাস্ট্রির হাতে পুনরায় ব্যবসা চালুর জন্য অর্থ দেওয়া তো হচ্ছে কিন্তু কেন্দ্র ফের চাইছে শ্রমিকদের ১০০ শতাংশ পুরো বেতন দেওয়া হোক। কিছু বোঝাপড়ার তো দরকার রয়েছে।' সুপ্রিম কোর্টের মতে, লকডাউনের সময়কালে শ্রমিকদের মজুরি প্রদান, শিল্পের সময়সীমা রক্ষা এবং শিল্পগুলিকে সুরক্ষার মধ্যে একটি ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে। ছোট শিল্পগুলির ক্ষেত্রে রাষ্ট্রকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে হবে।
উভয় পক্ষ আলোচনায় বসুক
বাণিজ্য ক্ষেত্রের প্রতিনিধি হিসাবে বরিষ্ঠ কাউনসেল বিশ্বনাথ জানিয়েছেন, এই মহামারি বিশ্বজুড়ে। এর প্রভাব সর্বত্র পড়েছে। কিছুজন লাভ করবে কিছুজনের ক্ষতি হবে সেটা ছিক নয়। ২৯ মার্চের বিজ্ঞপ্তিকে খারিজ করে উভয় পক্ষই আলোচনার মাধ্যমে এই ব্যাপারটি সমাধান করুক।
২৯ মার্চের নির্দেশ প্রত্যাহার
প্রসঙ্গত, ২৯ মার্চ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক যে নির্দেশ জারি করেছিল সেটাই আবার ১৭মে তুলে নেওয়া হয়েছে। এর ফলে বেসরকারি সংস্থা কর্তৃপক্ষের কর্মী ছাঁটাই অথবা বেতন কাটার ক্ষেত্রে আর কোনও বাধা-নিষেধ থাকল না। বিভিন্ন মহল আশঙ্কা করছে, এবার দেশের বিভিন্ন সংস্থাই নানা অজুহাতে কর্মী ছাঁটাই এবং বেতন কাটার পথে হাঁটবে। অর্থাৎ আগামী কয়েক মাস বিভিন্ন ক্ষেত্রে বহু কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘটনা ঘটবে বলেই মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই কর্মী ছাঁটাই শুরু হয়ে গিয়েছে বেশ কয়েকটি সংস্থায়।
ভারতকে সঙ্গে নিয়ে জি ১১ তৈরির পরিকল্পনা আমেরিকার! চিনকে চাপে রাখতে জি ৭ নিয়ে হতে পারে বড় পদক্ষেপ