দেশে ধর্ষণ ও পকসো আইনের বিচারাধীন মামলা ২.৪ লক্ষ, জানালো কেন্দ্র
দেশে ধর্ষণ ও পকসো আইনের বিচারাধীন মামলা ২.৪ লক্ষ, জানালো কেন্দ্র
প্রায় সাত বছর আগে হওয়া দিল্লিতে নির্ভয়া গণধর্ষণ মামলাই বিচারের আশায় ঝুলে রয়েছে, তার ওপর গত বছর ডিসেম্বর পর্যন্ত আরও ২.৪ লক্ষ ধর্ষণ ও পকসো আইনের মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে বলে বুধবার জানিয়েছে সরকার।
শীর্ষে উত্তরপ্রদেশ
লোকসভায় লিখিত জবাবের মাধ্যমে আইন ও বিচার সংক্রান্ত মন্ত্রক জানিয়েছে যে উত্তরপ্রদেশে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা সবচেয়ে বেশি, ৬৬,৯৯৪টি। এ বিষয়ে যোগী রাজ্য শীর্ষে রয়েছে। এরপরই দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মহারাষ্ট্র ২১,৬৯১টি মামলা নিয়ে ও তৃতীয় স্থানে পশ্চিমবঙ্গ, ২০,৫১১টি মামলা। লোকসভায় জনতা দল (একতা) নেতা রাজীব রঞ্জন সিংয়ের এক প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবি শঙ্কর প্রসাদ বলেন, ‘হাইকোর্ট থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ধর্ষণ ও পকসো আইনের মামলা ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিচারাধীন রয়েছে ২,৪৪,০০১টি।
১,০২৩টি ফার্স্ট ট্র্যাক আদালত তৈরি করা হবে দেশজুড়ে
প্রসঙ্গত, ফৌজদারি আইন (সংশোধীত) ২০১৮ অনুযায়ী ধর্ষণ ও পকসো আইনের মামলাগুলির দ্রুত বিচার ও নিষ্পত্তির জন্য দেশজুড়ে ১,০২৩টি ফার্স্ট ট্র্যাক বিশেষ আদালত চালু করার জন্য একটি প্রকল্প চূড়ান্ত করা হয়েছিল। যেটির ব্যায় ভার গ্রহণ করবে কেন্দ্র সরকার। যতদূর জানা গিয়েছে, ২০১৯-২০ সালে ২৭টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের জন্য ৬৪৯টি ফার্স্ট ট্র্যাক বিশেষ আদালত গঠনে ৯৯.৪৩ কোটি টাকা ছাড়া হয়েছে।
এ বছরের জানুয়ারিতে ১৯৫টি আদালত গঠন হয়েছে
বিচার ও আইন মন্ত্রকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘হাইকোর্ট থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ৩১ জানুয়ারি ২০২০ সালের মধ্যে ১৯৫টি ফার্স্ট ট্র্যাক আদালত গঠন করা হয়ে গিয়েছে।' কিন্তু আশ্চর্য্যের বিষয় উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র ও পশ্চিমবঙ্গে কোনও ফার্স্ট ট্র্যার আদালত নেই, যেখানে সবচেয়ে বেশি মামলা বিচারাধী রয়েছে। প্রস্তাবিত প্রকল্প অনুযায়ী উত্তরপ্রদেশে ২১৮টি, মহারাষ্ট্রে ১৩৮টি ও পশ্চিমবঙ্গে ১২৩টি ফার্স্ট ট্র্যাক বিশেষ আদালত গঠন করা হবে। এর পাশাপাশি ১৮টি অন্ধ্রপ্রদেশে, ৩৬টি তেলেঙ্গানায়, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ১টি, অরুনাচল প্রদেশে ৩টি, অসমে ২৭টি, বিহারে ৫৪টি, চণ্ডীগড়ে ১টি, ছত্তিশগড়ে ১৫টি, গোয়ায় ২টি, গুজরাতে ৩৫টি, হরিয়ানাতে ১৬টি, হিমাচল প্রদেশে ৬টি, জম্মু-কাশ্মীরে ৪টি, ঝাড়খণ্ডে ২২টি, কর্নাটকে ৩১টি, কেরলে ৫৬টি, মধ্যপ্রদেশে ৬৭টি, মণিপুরে ২টি, মেঘালয়ে ৫টি, মিজোরামে ৩টি, নাগাল্যাণ্ডে ১টি, এনসিটি-দিল্লিতে ১৬টি, ওড়িশাতে ৪৫টি, পাঞ্জাবে ১২টি, রাজস্থানে ৪৫টি, তামিলনাড়ুতে ১৪টি, ত্রিপুরাতে ৩টি ও উত্তরাখণ্ডে ৪টি ফার্স্ট ট্র্যাক বিশেষ আদালত গঠন করা হবে।
৯টি রাজ্যে ফার্স্ট ট্র্যাক আদালত
মন্ত্রী তাঁর জবাবে বলেন, ‘এফটিএসসির প্রকল্প অনুসারে, এই জাতীয় প্রতিটি আদালত এক বছরে ১৬৫ টি মামলা নিষ্পত্তি করবে বলে আশা করা হচ্ছে, যার জন্য রাজ্য / কেন্দ্রশাসিত সরকারদের অবহিত করা হয়েছে।' ২০২০ সালের জানুয়ারী পর্যন্ত এফটিএসসি প্রকল্পের আওতায় মহিলা ও বালিকা-শিশুদের জন্য কার্যকর এবং প্রতিষ্ঠিত ১৯৫ টি ফাস্ট ট্র্যাক বিশেষ আদালতের মধ্যে ৫৬ টি মধ্যপ্রদেশে, ১৫ টি ছত্তিশগড়ে, দিল্লিতে ১৬টি, ত্রিপুরায় ৩টি, ঝাড়খণ্ডে ২২টি, রাজস্থানে ২৬টি, তেলঙ্গানায় ৯টি, গুজরাটে ৩৪টি এবং তামিলনাড়ুতে ১৪ টি তৈরি করা হয়েছে।