হ্যালোউইনের রাতে পূর্ণিমার ‘নীল চাঁদে’র শোভা, বিরল ঘটনার সাক্ষী থাকল বিশ্ব
বিরল এক মহাজাগতিক দৃশ্যে মোহময়ী রাতের আকাশ। নীলাকাশে সাজা তুলোর মতো মেঘপুঞ্জের মধ্যে ‘নীল চাঁদ’ বা ‘ব্লু মুন’ দর্শন! ৩১ অক্টাবর ইংরেজি ক্যালেন্ডার হ্যালোউইনের রাত সাক্ষী থাকল বিরল এই ঘটনার।
বিরল এক মহাজাগতিক দৃশ্যে মোহময়ী রাতের আকাশ। নীলাকাশে সাজা তুলোর মতো মেঘপুঞ্জের মধ্যে 'নীল চাঁদ' বা 'ব্লু মুন' দর্শন! ৩১ অক্টাবর ইংরেজি ক্যালেন্ডার হ্যালোউইনের রাত সাক্ষী থাকল বিরল এই ঘটনার। তবে এই ব্লু মুন কিন্তু আসলে নীল নয়। তাহলে কেন এদিনের চাঁদকে বলা হচ্চে নীল চাঁদ? চাঁদের জোছনা গায়ে মেখেই উত্তর খুঁজলেন মহাকাশপ্রেমীরা।
এর আগে ব্লাড মুনের সাক্ষী থেকেছে পৃথিবী। আবার সুপারমুনও দেখেছে। এবার স সাক্ষী থাকল ব্লু মুনের। এক মাসের মধ্যে বিরল দ্বিতীয় পূর্ণিমা এই অক্টোবরে। ১ অক্টোবর পূর্ণিমার পূর্ণচন্দ্র প্রতিভাত হয়েছে আকাশে। আবার ৩১ অক্টোবর পূর্ণিমার চাঁদে আলোকিত আকাশ। ৭৬ বছর পর ঘটল এমন বিরল ঘটনা। আর আরও এটি বিস্ময়কর ঘটনা, ৩১ অক্টোবরের পূর্ণিমা পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি অঞ্চল থেকে দৃশ্যমান হবে।
হ্যালোইনের রাতে এই বিরল চাঁদ অন্য মাত্রা এনে দিল। পশ্চিমাদেশে এদিন হ্যালোইন পালন করা হয়। ভুত সেজে এদিনের রাতে ভয় দেখানোর অনেক লোকগাথা রয়েছে। চাঁদের এই হ্যালোইন আট দশকের মধ্যে প্রথম বলে জানানো হয়েছে। সাধারণ লোককাহিনিতে সর্বদা আকাশে পূর্ণ চাঁদযুক্ত হলেই হ্যালোইনের রাত বলে গণনা করা হয়। ২০২০-র অক্টোবর মাসে দুটি পূর্ণ চাঁদ দেখা যাওয়ার বিরল ঘটনাটির জন্য হ্যালোইন উদযাপন একটি অতিরিক্ত মাত্রা পেয়েছে।
কিন্তু কী করে হল এই জোড়া পূর্ণিমা। অঙ্কের হিসেবে দেখা যাচ্ছে, সাধারণত দেখা যায় একটি পূর্ণিমা থেকে আরেকটি পূর্ণিমার ফারাক হয় ২৯.৫৩১ দিন। অর্থার ২৯ দিন ১২ ঘণ্টা ৪৪ মিনিীট ৩৮ সেকেন্ড। এই হিসেবে ১২টি পূর্ণিমা হতে সময় লাগে ৩৫৪ দিন ৪৮ ঘণ্টা ৩৪ সেকেন্ড। এর ফলে সৌরবৎসরের সঙ্গ চান্দ্র বৎসরের ফারাক হয় ১১ দিনের। এভাবে তিন বছর অন্তর এক মাসে দুটি পূর্ণিমা দেখা যায়। এক বছরে ব্লু মুনেরও উদাহারণও আছে। ২০৩৯ সালে এমন ঘটনা দেখা যেতে পারে।