এনডিএ-এর সহযোগী ভিআইপি পার্টি প্রধান মুকেশ সাহানিকে মন্ত্রিত্ব কেড়ে নিল বিজেপি
এনডিএ-এর সহযোগী ভিআইপি পার্টি প্রধান মুকেশ সাহানিকে মন্ত্রিত্ব কেড়ে নিল বিজেপি
আর এনডিএ জোটের অংশ নয় বিহারের বিকাশীল ইনসান পার্টি! তাই সেই দলের প্রতিষ্ঠাতা মুকেশ সাহানি এনডিএ সরকারের মন্ত্রী থাকেন কীভাবে? এই মর্মেই বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের কাছে মুকেশের মন্ত্রিত্ব কেড়ে নেওয়ার আবেদন করেছিল ভারতীয় জনতা পার্টি। প্রকৃত জোটশরিক হিসেবে নিজের কর্তব্য পালন করলেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। বিজেপির আবেদনে সাড়া দিয়ে রাজ্যপালকে চিঠি লিখলেন তিনি।
২০২০ সালের বিহার বিধানসভা নির্বাচনে এনডিএ জোটের অন্যতম দল ছিল বিকাশীল ইনসান পার্টি। সবমিলিয়ে ১১ টি আসনে লড়েছিল তারা। এর মধ্যে মোট চারটিতে জিতেওছিল। নীতীশ কুমারের নয়া মন্ত্রিসভায় পশুপালন এবং মৎস্য মন্ত্রকের দায়িত্ব পেয়েছিলেন মুকেশ। সবকিছু ঠিকঠাকই চলছিল, গোল বাধল গত সপ্তাহে। মুকেশ বলেছিলেন, ২০২০তে আরজেডির নেতৃত্বে মহাজোটে না থেকে এনডিএর হাত ধরা সবচেয়ে বড় ভুল ছিল। এরপরই তাঁর দলের বাকি তিনজন বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দেন। এবং মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের কাছে মন্ত্রিসভা থেকে মুকেশকে সরিয়ে দেওয়ার আবেদন জানায় বিজেপি। জানা গিয়েছে, সেই আবেদন পেয়েই রাজ্যপালের কাছে আবেদন করেন নীতীশ কুমার।
তবে
শুধুই
বিজেপি
বিরোধিতা
নয়।
মুকেশের
বিরুদ্ধে
মৎস্য
দফতরের
কর্মপন্থা
বদলানোর
অভিযোগও
রয়েছে।
বিহারের
বিজেপি
প্রধান
সঞ্জয়
জয়সওয়াল
অভিযোগ
করেছিলেন,
মৎস্যজীবিদের
প্রচণ্ড
ক্ষতি
করছেন
মুকেশ।
প্রখণ্ড
মৎস্যজীবি
সহযোগ
সমিতিতে
চলতি
মাসের
শুরুতে
যে
নির্দেশিকা
জারি
করেছেন,
তাতে
ক্ষতিগ্রস্ত
হচ্ছেন
মাছ
চাষিরা৷
সেই
নির্দেশে
দেখা
যাচ্ছে,
১৩
জনের
ব্লক
স্তরের
কমিটির
বদলে
আধিকারিকদের
হাতে
অধিক
ক্ষমতা
তুলে
দেওয়া
হচ্ছে।
ব্লক
লেভেল
কো-অপারেটিভ
নির্বাচনের
কথাও
বলছে
ওই
নির্দেশিকা।
তবে
তাতে
কারা
ভোট
দিতে
পারবেন,
তা
স্পষ্ট
করে
বলা
হয়নি৷
নতুন
নির্দেশিকায়
এটাও
নির্দিষ্ট
করা
হয়নি
যে
কারা
জেলে৷
হিন্দুদের 'সংখ্যালঘু' ঘোষণার ক্ষমতা রাজ্যেরও রয়েছে হলফনামায় সুপ্রিমকোর্টকে জানাল কেন্দ্র
বিজেপির রাজ্য সভাপতি জয়সওয়াল, যিনি বেশ কিছু সমবায় সমিতির সদস্যের সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন তাঁরা অভিযোগ করেছেন যে সাহানি, মন্ত্রী হিসাবে, সমবায় কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদগুলি সরিয়ে দিয়েছিলেন এবং একটি কার্যনির্বাহী সংস্থা গঠন করেছিলেন, যা একজন আমলাদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। বিজেপির মৎস্য সেলের রাজ্য আহ্বায়ক লালন সাহানি জানিয়েছে যে, মুকেশ সাহানির আমদের শেখাতে চেয়েছিল আসল জেলে কারা! এখন তার পদ্ধতি অবুসারে সমবায় কমিটির সদস্য কে হতে পারেন? সেই বিষয়গুলি তাঁকে স্পষ্ট করতে হবে। সমবায় বিভাগ বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নিয়েছে।