বাইশের আগে পঞ্জাবে শিখ মুখ খুঁজছে বিজেপি
বাইশের আগে পঞ্জাবে শিখ মুখ খুঁজছে বিজেপি
আকালি দলের সঙ্গে গাঁটছড়া ভাঙার পর থেকেই পাঞ্জাবে শিখ ভোট ভাবাচ্ছে বিজেপিকে৷ বাইশের ভোটে রাজ্যে ১১৭টি আসনে শিখ মুখ খুঁজতে গিয়ে হিমসিম খাচ্ছে বিজেপি৷ গোদের উপর বিষফোঁড়া হয়েছে কেন্দ্রের কৃষি আইন৷ স্বাভাবিকভাবেই পাঞ্জাবে জমি উদ্ধারে মরিয়া বিজেপি৷
১৯৯৭ সাল থেকে পাঞ্জাবের আকালি দলের সঙ্গে জোট ছিল বিজেপির। স্বাভাবিকভাবেই লোকসভা কিংবা বিধানসভা ভোটে শিখ ভোট নিয়ে চাপে পড়তে হয়নি বিজেপিকে৷ অন্যদিকে পাঞ্জাবে দলিত ও হিন্দুদের মধ্যে বিজেপির যথেষ্ট প্রভাব ছিল৷ এই সমীকরণ-ই উল্টে গিয়েছে আকালি দল বিজেপির সঙ্গে গাঁটছড়া ভাঙার পর থেকে৷ তাই পাঞ্জাবের বিজেপি নেতা সুভাস শর্মা, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত এবং রাজ্যের জেনারেল সেক্রেটারি দুষ্যন্ত কুমার গৌতমকে এখন স্থানীয় নেতা খুঁজতে হচ্ছে।
সম্প্রতি পঞ্জাবের নেতাদের দিল্লি ডেকে পাঠিয়েছিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সূত্রের খবর সেখানে এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। কংগ্রেস ও আকালি দলের প্রতি ক্ষুব্ধ শিখ অংশকে খুঁজে বার করে তাদের বিজেপিতে আনার পক্রিয়া শুরু করেছে পাঞ্জাব বিজেপি৷ পাশাপাশি জোর দেওয়া হয়েছে পাঞ্জাবের যুব সমাজকে আকৃষ্ট করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের প্রচারের উপরও জোর দেওয়া হয়েছে৷
দেবাঞ্জন কি আলাপ জমিয়েছিল রাজভবনেও, একাধিক ছবি প্রকাশ করে প্রশ্নবান তৃণমূলের
বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকের প্রভাব যে পড়েছে পঞ্জাব বিজেপিতে তা বেশ ভালোই বোঝা যায়৷ সম্প্রতি পঞ্জাবের গুরু কাশী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য জসবিন্দর সিং ঢিলন, আইনজীবী হরিন্দর সিং কাহলন, জগমোহন সিং সায়নী এবং নির্মল সিংহ মোহালি সম্প্রতি বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন৷ রাজ্যের শিক্ষিত শিখ সমাজের বিজেপি যোগদানে আশার আলো দেখছে বিজেপি।