গর্ভ ভাড়া দিয়ে ব্যবসা করা যাবে না, লোকসভায় পাস সারোগেসি বিল
সারোগেসির বাণিজ্যিকীকরণ রুখতে এবার কড়া পদক্ষেপ করল কেন্দ্রে। লোকসভায় ধ্বনি ভোটে পাস হয়ে গেল সারোগেসি নিয়ন্ত্রণ বিল। মঙ্গলবার লোকসভায় বিলটি পেশ করেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন।
সারোগেসির বাণিজ্যিকীকরণ রুখতে এবার কড়া পদক্ষেপ করল কেন্দ্রে। লোকসভায় ধ্বনি ভোটে পাস হয়ে গেল সারোগেসি নিয়ন্ত্রণ বিল। মঙ্গলবার লোকসভায় বিলটি পেশ করেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন। এই বিলে যথেচ্ছ সারোগেসি নিয়ন্ত্রণের কথা বলা হয়েছে। অর্থাৎ এখন ইচ্ছে মতো টাকা দিযে সারোগেসি করানো যাবে না।
যাঁরা সারোগেসির মাধ্যমে সন্তান চাইছেন তাঁদের চাওয়াটা কতটা ন্যায্য সেটা খতিয়ে দেখার জন্য কেন্দ্র এবং রাজ্য স্তরে দুটি সারোগেসি বোর্ড তৈরির কথা বলা হয়েছে। যথেচ্ছ স্যারোগেসি নিযন্ত্রণের জন্য একটি সঠিক কর্তৃপক্ষ নিয়োগের কথা বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার লোকসভায় বিলটি পেশ করার পর কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন বলেন, সারোগেসির নামে গর্ভ ভাড়া দেওয়ার যে ব্যবসা তৈরি হয়েছে সেটাকে বন্ধ করতে হবে। যে সব শিশুরা সারোগেসির মাধ্যমে জন্মাচ্ছে তাদের ভবিষ্যত সুনিশ্চিত করার স্বার্থেই এই বিলের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। সারোগেসির নামে ছাতার মতো ক্লিনিক গজিয়ে উঠেছে গোটা দেশে। এই ব্যবসা বন্ধ করতে হবে। সারোগেট মায়েদের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতেই এই আইন অত্যন্ত জরুরি বলে জানিয়েছেন তিনি।
হর্ষ বর্ধন দাবি করেছেন, এখনও বিশ্বের খুব কম সংখ্যক দেশই সারোগেসির বাণিজ্যিকীকরণের অনুমতি দিয়েছে। কিন্তু ভারতীয় মহিলাদের সারোগেসির বাজারে টেনে এনে তাঁদের কোনওভাবেই ক্ষতি করতে চায় না সরকার। ভারতীয় নারীদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই এই বিল তৈরি করা হয়েছে। তাই কোনওভাবেই এর বাজারিকরণ করা হবে না।
সারোগেসি নিয়ন্ত্রণ বিল পাসের দরুন এবার থেকে আর বলিউড স্টারেদের মতো ইচ্ছে হলেই সারোগেসির মাধ্যমে সন্তান নিতে পারবেন না কেউ। মায়ের নিকটাত্মীয়ই সারোগেট মাদার হতে পারবেন। যাঁরা সারোগেসির মাধ্যমে সন্তান চাইছেন তাঁদের একেবারেই ভারতের নাগরিক হতে হবে। যাঁরা সারোগেসি করাতে চাইছেন তাঁরা যে স্বাভাবিক পদ্ধতিতে সন্তান ধারনে অক্ষম তার মেডিকেল সার্টিফিকেট দেখাতে।
দম্পতির বয়স ২৫-৫৫ বছরের মধ্যে হতে হবে। এবং সারোগেসির সন্তানই তাঁদের একমাত্র সন্তান থাকবে। আগে কোনও সন্তান থাকলে তাঁরা সারোগেসি করাতে পারবেন না এমন কী সারোগেসির পরেও কোনও সন্তান নিতে পারবেন না। এক্ষেত্রে একটাই ব্যতিক্রম হতে পারে সারোগেসিতে জন্মান শিশু যদি মানসিক অথবা শারীরিকভাবে বিশেষভাবে সক্ষম হয়। এবং সারোগেসি সন্তানকেই উত্তারাধিকারী হিসেবে মেনে নিতে হবে। সেই তাঁদের উত্তরসূরী হিসেবে সব সম্পত্তি দিতে হবে তাঁকে।