সিএএ-র নামে মানুষকে বোকা বানিয়েছেন মোদী! নির্বাচনের আগে বিজেপির পর্দা ফাঁস
সিএএ-র নামে অসমের মানুষকে বোকা বানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন কংগ্রেসের তরফে এমনই অভিযোগ করা হল। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে অসমের নির্বাচনের জন্য বিদেপির ইস্তেহারে ছিল অসম চুক্তি বাস্তবায়িত করার প্রতিশ্রুতি। সেই মতো ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের আগে পর্যন্ত আসা বাংলাদেশীদের নাগরিকপঞ্জি বাদ দেওয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। তবে সেই এনআরসি প্রক্রিয়া নিয়েও অসন্তোষ রয়েছে অসমের মানুষের মনে।
বাংলাদেশীদের জন্যে রেড কার্পেট বিছিয়ে দিয়েছে বিজেপি
এদিন এই বিষয়ে অসমের প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি রিপুন বোরা বলেন, 'অসম চুক্তিতে চূড়ান্ত করে দেওয়া হয়েছিল যে ১৯৭১ সালের পরে যারাই রাজ্যে এসেছেন তারা নাগরিক নন। তবে সিএএ লাগু করে সেই সকল বেআইনি নাগরিককে নাগরিকত্ব পাইয়ে দিতে চাইছে বিজেপি সরকার। সিএএ-তে কাট অফ সময় রেখেছেন ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর। এটা বাংলাদেশীদের জন্যে রেড কার্পেট বিছিয়ে দেওয়ার শামিল।'
কী করে বিজেপি অসম চুক্তি লাগু করবে?
এদিন কংগ্রেসের সভাপতি রিপুন বোরা আরও বলেন, 'এভাবে কী করে বিজেপি রাজ্যে অসম চুক্তি লাগু করবে? এখন কি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অসমের জনগণের কাছে ক্ষমা চাইবেন তাঁর দলের চালিত সরকারের এই ব্যর্থতার জন্যে?' এদিন তিনি আরও অভিযোগ করেন, '২০১৬ সালে বিজেপি অভিযোগ করেছিল রাজ্যে ৫০ লক্ষ বেআইনি বাংলাদেশী থাকে। কিন্তু ২০১৮ সালে মাত্র ৫০ জন বৈআইনি অভিবাসীকে আটক করা হয়।'
সিএএ ও এনআরসি-র বিরোধিতায় শুরু হয়েছিল বিক্ষোভ
২০১৯ সালের ডিসেম্বরেই আইনে পরিণত হয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। আর তারপর থেকেই সিএএ ও এনআরসি-র বিরোধিতায় দেশের একাধিক জায়গায় শুরু হয়েছিল বিক্ষোভ। পথে নামে বিরোধীরা। একাধিক জায়গায় সভা, মিছিল করেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। আগুন জ্বলে অসমে।
এনআরসি নিয়ে অমিত শাহের দাবি
যদিও এর মাঝেই জোর গলায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, প্রতিটি রাজ্যেই এনআরসি চালু হবে। ২০১৮ সালে ঝাড়খণ্ডে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে তা নিয়ে সময়সীমাও বেঁধে দেন তিনি। বলেছিলেন ২০২৪-এর মধ্যেই দেশজুড়ে এনআরসি কার্যকর হবে। এই ঘোষণার পর আরও তীব্র হয়েছিল আন্দোলন।
পরিস্থিতি শান্ত করতে ময়দানে নামেন স্বয়ং মোদী
পরে অবশ্য পরিস্থিতি শান্ত করতে ময়দানে নামেন স্বয়ং মোদী। প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, এনিয়ে মন্ত্রিসভায় কোনও আলোচনাই হয়নি। শুধু তাই নয়, তিনি এও বলেছিলেন ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশজুড়ে এনআরসি চালু নিয়ে কোনও আলোচনাই হয়নি। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এটি অসমে চালু হওয়ার পরই তা আলোচনার কেন্দ্রে আসে।
বিজেপি-সিপিএম গোপন আঁতাতের জের, নির্বাচনের আগেই বড় ভাঙনের মুখে গেরুয়া শিবির