কমলেশ তিওয়ারির মাথার দাম ঘোষণা মৌলবির, পুলিসের হাতে গ্রেফতার
উত্তর প্রদেশের লখনউয়ে হিন্দু মহাসভার প্রাক্তন নেতা কমলেশ তিওয়ারির মাথার দাম ৫১ লাখ টাকা ঘোষণা করেছিলেন মৌলনা আনওয়ারুল হক। শুক্রবার তাঁকে উত্তর প্রদেশের বীজনৌর থেকে গ্রেফতার করে উত্তর প্রদেশ পুলিস। কমলেশ তিওয়ারি হত্যার পরের দিনই তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিস। কমলেশের স্ত্রী অভিযোগ করেছেন, ২০১৬সালে বিজনৌরের দুই মৌলনা তাঁকে হত্যার হুমকি দিয়েছিলেন। লখনউ পুলিসের কাছে কমলেশের স্ত্রীর এফআইআরের পরেই পুলিস ওই মৌলবিকে গ্রেফতার করে।
|
মিষ্টির বাক্সে অস্ত্র বহন
এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গুজরাটের সুরাট থেকে সন্দেহভাজন সাতজনকে গ্রেফতার করেছে এটিএস। সিসিটিভি ফুটেজে একটি মিষ্টির বাক্স কিনতে দেখা গিয়েছিল এক ব্যক্তিকে। সেই বাক্সতেই কমলেশকে খুনের অস্ত্র নিয়ে গিয়েছিল আততায়ীরা। ঘটনাস্থল থেকে সেই মিষ্টির বাক্সটি উদ্ধার করে লখনউ পুলিস।
হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার আল-হিন্দ-ব্রিগেডের
এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে রয়েছে আল-হিন্দ-ব্রিগেড নামে একটি সংগঠন এমনই জানতে পেরেছে পুলিস। তবে তা সুনিশ্চিত করে এখনও জানাননি তদন্তকারীরা। একটি হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে কমলেশের হত্যার দায় স্বীকার করে সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে যিনি ইসলাম এবং মুসলিমদের অবমাননার চেষ্টা করেন তাঁকে হত্যা করেছি আমরা। এই হোয়াটসঅ্যাপ ম্যাসেজট গোটা শহরে ছড়িয়ে পড়েছে। সেই হোয়াটস মেসেজে রয়েছে কমলেশ তিওয়ারির ছবিও। হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে কমলেশের বিরুদ্ধে ইসলাম এবং মুসলিমদের অবমাননার অভিযোগ করা হয়েছে সংগঠনের পক্ষ থেকে। এই ধরণের ঘটনা আরও ঘটবে বলে হোয়াটস অ্যাপ মেসেজে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
কমলেশের নিরাপত্তায় গলদের অভিযোগ
কমলেশ তিওয়ারির নিরাপত্তায় দুই পুলিসকর্মীকে মোতায়েন করা হয়েছিল। কিন্তু যখন হত্যাকাণ্ডটি ঘটে তখন তাঁর সঙ্গে কোনও কনস্টেবল ছিলেন না বলে অভিযোগ। এক কনস্টেবল অনুপস্থিত ছিলেন আরেকজন ঘুমিয়ে পড়েছিল যখন হামলা হয়। কমলেশকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে একাধিকবার কোপানো হয় বলে অভিযোগ। তাঁর গলায় ধারালো অস্ত্রের কোপ দেওয়া হয়েছিল। রক্তাক্ত অবস্থায় কমলেশকে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও বাঁচানো যায়নি।
যদিও অনেকে আবার দাবি করেছেন কমলেশকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। নিজেকে হিন্দু মহাসভার প্রতিষ্ঠাতা বলেই দাবি করতেন। ২০১৫ সালে কমলেশ ইসলামকে অবমাননা করে একাধিক লিফলেট সাহারানপুরে বিলি করেছিলেন বলে অভিযোগ।