রামানুজাচার্যের মূর্তি উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী, যার উচ্চতা ২১৬ ফুট
রামানুজাচার্যের মূর্তি উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী, যার উচ্চতা ২১৬ ফুট
আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি একাদশ শতকের সাধক তথা সমাজ সংস্কারক রামানুজাচার্যের একটি ২১৬ ফুট মূর্তি উন্মোচন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই মূর্তিকে 'স্ট্যাচু অফ ইকুয়ালিটি' বলা হয়। হায়দরাবাদের শামশাবাদে ৪৫ একর চত্বরজুড়ে এই মূর্তিটি রাখা হবে। পৃথিবীর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মূর্তি। এটি জানিয়েছেন চিন্না জেয়ার স্বামী আশ্রমের তরফ থেকে।
বিশ্বজুড়ে ভক্তদের অনুদান থেকে দেওয়া প্রাপ্ত অর্থ থেকে ১ হাজার কোটি টাকা মূল্যের এই মূর্তি গড়ে উঠছে। ১২০ কেজি ওজনের সোনা দিয়ে তৈরি হয়েছে মন্দিরের গর্ভগৃহে শ্রী রামানুজাচার্যের মূর্তি। তাছাড়া তৈরি হয়েছে ১২০ বিশিষ্ট সন্তের পৃথিবীর বুকে ১২০ বছর জীবিত ছিলেন। আর এই কথা মাথায় রেখে ১২০ কেজি সোনা দিয়ে মূর্তিটি তৈরি হয়েছে। আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ রামানুজের মন্দির অভ্যন্তরের সোনার মূর্তির আবরণ উন্মোচন করবেন বলে জানা গিয়েছে।
সাধকের ১ হাজার জন্মবার্ষিকী উদযাপনের জন্য আগামী মাসের ২ তারিখ থেকে কয়েকটি অনুষ্ঠান শুরু করা হবে। অনুষ্ঠানগুলির মধ্যে রয়েছে ১০৩৫ যজ্ঞের মতো অনুষ্ঠান ও গণমন্ত্রোচ্চারণের মতো ধর্মীয় কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়েছে।
তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রশেখর রাও বিখ্যাত আধ্যাত্মিক গুরু চিন্না জেয়ার স্বামীর সাথে এই আয়োজনে থাকবেন বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও উপস্থিত থাকবেন অন্যান্য মুখ্যমন্ত্রী, রাজনীতিবিদ, সেলিব্রিটিরা উপস্থিত থাকবেন।
'পাঁচলোহা' মূর্তিটি স্বর্ণ, রূপা, তামা, পিতল ও দস্তার দ্বারা তৈরি। বিষ্ণু মন্দিরে ১০৮ টি অলঙ্কৃত খোদাই করা আছে। যেখানে খোদাই করা হয়েছে বিভিন্ন তামিল সাধুদের লেখা নানান রচনা। সব সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য এই মন্দিরেরে দরজা খুলে দেওয়া হয়েছে। রামানুজাচার্যকে বিশ্বের সামাজিক সংস্কারবাদীদের মধ্যে সাম্যের একটি চিরন্তন বলে মনে করা হয়। পৃথিবীর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মূর্তি বলে জানান চিন্না জেয়ার স্বামীজি।
ওমিক্রনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে সক্ষম রাশিয়ান স্পুটনিক ভি , জানাচ্ছে সমীক্ষা
তিনি বলেন, এই স্ট্যাচু অফ ইকুয়ালিটি বিশ্বেজুড়ে মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। ১ হাজার তম জন্মবার্ষিকী উদযাপনের জন্য নানান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। রামানুজাচার্যের কাজের অনেক বিবরণ, বৈদিক ডিজিটাল লাইব্রেরি, প্রাচীন ভারতীয় গ্রন্থ, শিক্ষামূলক গ্যালারি উৎসর্গ করা হয়েছে বিশ্ববাসীর জন্য।