শেষ থেকেই শুরু, জেনে নিন চ্যাম্পিয়ন অন্তিমের লড়াইয়ের কাহিনী
Array
অন্তিম অর্থাৎ শেষ। কিন্তু এই শেষ থেকেই যেন নতুন স্বপ্ন দেখার শুরু হল। মেয়ের হাত ধরে এল কুস্তিতে অনুর্ধ্ব ২০ প্রথম চ্যাম্পিয়নশিপ টাইটেল। মেয়ের নাম অন্তিম। তিনি জিতে নিয়েছেন এই চ্যাম্পিয়নশিপ। আর আজ তিনি চলে এসেছেন আলোচনার কেন্দ্রে।
Proud moment🥇
— Amit Shah (@AmitShah) August 20, 2022
Congratulations to Antim Panghal for creating history and becoming the first Indian girl to win a Gold medal at the U-20 World Championships.
India salutes your hard work and commitment. Best wishes for your bright future, keep shining. pic.twitter.com/8crrzejfLt
কুস্তিতে ভারত
এমনিতেই কমনওয়েলথ গেমসে কুস্তিতে দুরন্ত পারফর্মেন্স করেছে ভারতীয় দল। পরের গেমসে কী হতে পারে সেই দিকে নজর থাকবে সবার। এমন সময়েই অন্তমের এই জয় আরও এক নতুন আশা জাগাল তা বলা যেতেই পারে। অন্তিমের বাবার নাম রাম নিবাস পাঙ্গল, মা কৃষ্ণা কুমারী। রাম নিবাস ও কৃষ্ণা কুমারীর চতুর্থ সন্তান অন্তিম। এখনও দেশ সেই পুরুস্তান্ত্রিক সমাজে পড়ে রয়েছে।
পরিবার
চতুর্থ কন্যা জন্ম নেওয়ার পর, হরিয়ানার এই দম্পতি ঠিক করে নিয়েছিল যে তাঁরা আর কোনও কন্যা সন্তানকে স্বাগত জানাবেন না। আজ সেই মেয়েই দেশের নাম উজ্জ্বল করেছে। ১৮ বছর বয়সী হরিয়ানার কুস্তিগীর অন্তিম পাঙ্গল প্রথম ভারতীয় মহিলা কুস্তিগীর হিসাবে সোফিয়ায় বিশ্ব অনূর্ধ্ব-২০ কুস্তি চ্যাম্পিয়নশিপে জয়ী হয়েছেন। কাজাখস্তানের অ্যাটলিন শাগায়েভাকে ৮-০ ব্যবধানে হারিয়ে অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন মুকুট জিতেছেন তিনি।
দুরন্ত
গ্র্যাপলার
এর
আগে
বৃহস্পতিবার
সেমিফাইনালে
ইউক্রেনের
নাটালিয়া
ক্লিভচুটস্কাকে
১১-১
হারিয়ে
ফাইনালে
জায়গা
করে
নিয়েছিলেন।
এই
জয়ের
পর
কিন্তু
তাঁর
মা
বাবা
এখন
আনন্দে
আত্মহারা,
অন্তম
নামের
পিছনে
খুব
দুঃখের
ইতিহাস
থাকলেও
এখন
তাঁরা
বলছেন
যে
আমরা
সবসময়
তাকে
আমাদের
সবচেয়ে
প্রিয়
সন্তান
হিসাবে
বিবেচনা
করেছি।
বিশ্ব
চ্যাম্পিয়নশিপে
যাওয়ার
আগে,
ও
আমাদের
বলেছিল
যে
সে
স্বর্ণপদক
নিয়ে
ফিরবে
এবং
বলেছিল
রেকর্ড
গড়েই
সে
আসবে।
আজ
সেটাই
করে
ফিরছে
ও
আমাদের
আজ
সবচেয়ে
খুশির
দিন।"
কীভাবে আসা কুস্তির আখড়ায়
বড় বোন সারিতা, মীনু এবং নিশা পড়াশোনা করেন। তবে অন্তিম হেঁটেছে অন্য পথে। সে তার মায়ের সাথে পরিবারের দেড় একর খামারে তার বাবার খাবার নিয়ে হিসারের কাছে তাদের গ্রাম বাঘনাতে নিয়ে যেত। সেখানে যাওয়ার পথে সে গ্রামের আখড়ায় স্থানীয় কুস্তিগীরদের প্রশিক্ষণ দেখত। মেয়ের কুস্তিতে মনযোগ দেখে তার বাবা তাঁকে কুস্তির শেখানোর জন্য লাল দাস রেসলিং একাডেমিতে প্রশিক্ষণের জন্য নিয়ে যায়। সেই শুরু।
তাঁর কোচ বিকাশ সিহাগ বিশ্বাস বলেন যে অন্তিম তার প্রতিপক্ষের প্রতি তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখে। "ও খুব ভালো করেই জানে যে এই খেলায় পায়েতে আক্রমণ হবে। আর এটার দিকেই ওঁর কড়া নজর রয়েছে সবসময়েই। এটাই ওঁকে আরও শক্তিশালী কুস্তিগীর করেছে। ও কোনও সময়েই কিছু পয়েন্ট হারিয়ে ফেললেও তা নিয়ে চিন্তা করত না। লাকদবাঘা এবং নিদাল চালগুলি সে গত কয়েক সপ্তাহে সফলভাবে চেষ্টা করেছিল এবং কালাজুং-এর জন্যও চেষ্টা করেছিল। তার ফল আমরা সবাই দেখতে পাচ্ছি।"
ফিরে আসার লড়াই
প্রসঙ্গত তিন মাস আগে, অন্তিমকে তার কেরিয়ারের সবচেয়ে বড় হতাশার মুখোমুখি হতে হয়েছিল যখন তিনি কমনওয়েলথ গেমসের জন্য বাছাই ট্রায়ালের ফাইনালে দু'বারের কমনওয়েলথ গেমস এবং এশিয়ান গেমসের চ্যাম্পিয়ন ভিনেশ ফোগাটের কাছে হেরে যান।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ শনিবার অবিশ্বাস্য কীর্তি অর্জনের জন্য অন্তিমকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, "এটা এক গর্বের মুহূর্ত। ইতিহাস তৈরি করার জন্য এবং অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে স্বর্ণপদক জিতে প্রথম ভারতীয় মেয়ে হওয়ার জন্য অন্তিম ফঙ্গলকে অভিনন্দন। ভারত আপনার কঠোর পরিশ্রম এবং প্রতিশ্রুতিকে সালাম জানায়। আপনার উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য শুভকামনা করি।"