বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশনের পরিশ্রমের ফলে লকডাউনের মধ্যেও আনুষ্ঠানিকভাবে খুলল রোটাং পাস
কোভিড–১৯–এর লকডাউনের মধ্যেও বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশন ওরফে ব্রো–এর দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রমের পর তিন সপ্তাহ পর খুলল রোটাং পাস। শনিবার ডঃ মরকন্দার নেতৃত্বে প্রয়োজনীয় জিনিস সরবরাহ ও ১৫০ জন কৃষকদের নিয়ে প্রথম কনভয় এই রোটাং পাসের ওপর দিয়ে লাহোল উপত্যকার উদ্দেশ্যে যায় এবং এভাবেই এ বছর আনুষ্ঠানিকভাবে খুলে গেল রোটাং পাস।
হিমাচল সরকার ধন্যবাদ জানিয়েছে ব্রোকে
রোটাং পাস খুলে যাওয়ার ফলে স্থানীয় মানুষদের জন্য প্রয়োজনীয় ত্রাণ ও ওষুধ সরবরাহ করতে সফল হবে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার। এছাড়াও কৃষিকাজ, যা এই জেলার মেরুদণ্ড, তা পুনরায় চালু হতে পারবে। ব্রো-এর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে হিমাচল প্রদেশ সরকার প্রকল্প দীপকের মাধ্যমে করা প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানিয়েছে।
রোটাং পাসে ছ’মাস বরফ আবৃত থাকে
নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে মে মাসের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত প্রায় ছয় মাস ধরে তুষার-আবদ্ধ থাকায় রোটাং পাসের বরফ সরানোর কাজ প্রত্যেক বছর করা হয়। গত বছর রোটাং পাস খোলা ছিল ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত। শীতের সময় এই উপত্যকা গোটাটা বরফে ঢাকা থাকে সেই কারণে বিভিন্ন সরবরাহের জন্য বিমানের ওপর নির্ভরশীল হয়ে থাকতে হয়। হিমাচল প্রদেশ সরকার এ বছরের ১১ এপ্রিল ডিজি বর্ডার রোডসকে বরফ সরানোর জন্য আর্জি জানায়। যাতে কৃষকরা ফের কৃষিকাজ শুরু করতে পারেন এবং কোভিড-১৯-এর সকডাউনের জন্য লাহুল উপত্যকায় প্রয়োজনীয় ত্রাণ সরবরাহ করতে পারে।
প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও বরফ সরিয়েছে ব্রো
তুষারপাত, অত্যন্ত ঠাণ্ডা ও ঘনঘন তুষারঝড়ের সাক্ষী রাহালা ফল, বিয়াস নাল্লা ও রাণি নাল্লা। যে কারণে বরফ সরাতে বেশ অনেকটা সময় লেগে গিয়েছিল। কিন্তু ব্রো-এর দল অক্লান্ত পরিশ্রম করে অসাধ্যকে সাধন করেছেন। সরকারিভাবে জানা গিয়েছে, লকডাউনটি কার্যকর হওয়ার পরে রোটাং পাসের নিচে ৮.৮ কিলোমিটার দীর্ঘ অটল টানেলের কাজও স্থবির হয়ে পড়েছিল। এই টানেলটি এখন ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে এবং রাজ্য সরকারকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। যদিও এই টানেলের কাজটি ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল।