নজিরবিহীন: ৭ সন্তান সহ পরিবারের ১৪ জনকে খুন করে আত্মহত্যা যুবকের
থানে, ২৮ ফেব্রুয়ারি : একই পরিবারের ১৪ জনের মৃতদেহ উদ্ধার হল মহারাষ্ট্রের থানে এলাকার একটি বাড়ি থেকে। রবিবার সকালে মৃতদেহগুলি উদ্ধার হওয়ায় এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য পড়ে যায়। ঘটনাটি ঘটেছে থানের কসারভাদাবলী এলাকায়। একের পর এক পরিবারের সদ্স্যদের গলা কেটে খুন করা হয়েছে। [বান্ধবীর সঙ্গে সেলফি তোলার পর খুন করে হোয়াটঅ্যাপে ছবি পোস্ট যুবকের]
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে ১৪ জনের মধ্যে ৭ জন শিশু এবং ৭ জন পূর্ণবয়স্ক। যিনি এই ঘটনার পিছনে আছে বলে মনে করা হচ্ছে তাক নাম হুসনেল ভারেকর। বয়স ৩২। ১৪ জনকে খুন করার পর নিজেও গলায় ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্মা করেন তিনি। মৃত হুসনেলের হাতে ছুঁড়ি ধরা ছিল। [পাম অ্যাভিনিউয়ে মা ও যমজ ছেলে খুন, সন্দেহের তির আহত বাবার দিকে]
মৃতদের মধ্যে রয়েছ হুসনেলের বাবা-মা, স্ত্রী, ৭ সন্তান এবং বোনেরা। এক বোন প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন। আপাতত হাসপাতালে আহত অবস্থায় ভর্তি তিনি। অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। এই নরহত্যার পিছনে কী কারণ রয়েছে তা এখনও পুলিশের কাছে ধোঁয়াশা। [বাবাকে ভালবাসে না এই ছিল অন্যায়, বাবার হাতেই খুন ৭ বছরের মেয়ে!]
এলাকার স্বচ্ছল পরিবারে এহেন ঘটনায় বিস্মিত এলাকাবাসীও। এমনকী হুসনেল অত্যন্ত ভদ্র, সভ্য, মিতভাষী এক ব্যক্তি ছিলেন বলেই প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন। পরিবারে এত সদস্য থাকা সত্ত্বেও কখনও পরিবারে যথেষ্ট শান্তি ছিল। মৃত পরিবারের আত্মীয়স্বজনদের একাংশ জানিয়েছেন, পরিবারে সম্পত্তি নিয়েও তোনও বিবাদ ছিল না। তাই পুলিশের পাশাপাশি প্রতিবেশী ও আত্মীয়রাও এই ঘটনার পিছনে কী কারণ রয়েছে তা আন্দাজ করতে পারছেন না। [ নাদিয়ালের পুনরাবৃত্তি : বউয়ের কাটা 'মুণ্ডু' নিয়ে রাস্তায় স্বামী]